ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের পদচারণায় উৎসবমুখর বিদ্যালয়ের আঙিনা

প্রকাশ : ১৫ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  তিতাস (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

কুমিল্লার তিতাসে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের পথচারণায় উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে বিদ্যালয়ের আঙিনা। দুই শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পুরোদমে শুরু হয়েছে পাঠদান। গতকাল বুধবার উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। জানা যায়, কোটা সংস্কার আন্দোলনের কর্মসূচি চলাকালিন শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে গত ১৭ জুলাই থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পর্যায়ক্রমে বন্ধ হয়ে যায় দেশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এর আগে ৬ আগষ্ট থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা জানিয়েছিল আন্তঃবাহিনীর জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে। ছাত্র আন্দোলন চলমান থাকায় এবং আন্দোলন পরবর্তী সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন স্থাপনা পরিষ্কার ও গৌরীপুর-হোমনা সড়কের বাতাকান্দি ও কড়িকান্দি বাজারে যানজট নিরসনে যেসব শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেছিল গতকাল বুধবার তাদেরকে শ্রেণিকক্ষে দেখা যায়। গাজীপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুবুল হক সরকার বলেন, শ্রেণিকাজ আমরা অনেক আগে থেকে শুরু করেছি। তবে আজকে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ব্যাপক। জিনিয়ার ক্যাডেট স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ জানান, গত ৬ তারিখের পর থেকে আমাদের মাধ্যমিক শাখার কার্যক্রম চালু হলেও আজ থেকে প্রাথমিক শাখার কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হয়েছে। যারা বিদ্যালয়ে এখনো আসেনি তাদের অভিভাবকদের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। গাজীপুর খান সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল বাতেন বলেন, ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শ্রেণির পাঠদান পুরোদমে শুরু হয়েছে। যেসব শিক্ষার্থীরা স্বেচ্ছাশ্রমে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেছিল তাদের অধিকাংশ আজকে শ্রেণিকক্ষে ফিরেছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপার ভাইজার সারজিনা আক্তার জানান, উপজেলার ২টি সরকারি কলেজ, একটি বেসরকারি কলেজ, ১৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ১১টি মাদ্রাসায় পুরোদমে শ্রেণিকাজ চলমান আছে। উপজেলা শিক্ষা অফিসার লায়লা পারভীন বানু জানান, উপজেলার ৯২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৬৫টি কিন্ডার গার্টেনে শ্রেণির পাঠদান রুটিন অনুযায়ী চলছে। গত কয়েকদিনের তুলনায় গতকাল বুধবার থেকে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বেশি। সরেজমিনে পরিদর্শন করে আমিসহ সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসাররা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি এবং বিদ্যালয়ের কার্যক্রম তদারকি করছি।