ঢাকা ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পৌর কাউন্সিলরের কার্যালয় ও বসতবাড়িতে হামলা-ভাঙচুর

পৌর কাউন্সিলরের কার্যালয় ও বসতবাড়িতে হামলা-ভাঙচুর

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের তারাবো পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাহবুবুর রহমান মোল্লা জাকারিয়ার কার্যালয়, বসতবাড়ি ও শিল্পকারখানায় হামলা চালিয়ে ব্যপক ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট তাণ্ডব করেছে দুর্বৃত্তরা। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নব্য আওয়ামী লীগের তারাবো পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের বরপা এলাকার শওকত আলীর ছেলে আব্দুর রউফ মিয়া ও মামুন মিয়া এবং বোরহান মোল্লার ছেলে স্বপন মোল্লার উস্কানিতে এ ভয়াবহ ঘটনা ঘটে। এ সময় হামলায় অন্তত ৫ জন আহত হন ও তাদেরকে উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় প্রায় দেড় কোটি টাকার সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির দাবি ভুক্তভোগী জাকারিয়া মোল্লার। এ সময় হামলাকারীরা একটি মিল ভাঙচুর ও লুটপাট করে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়, একই সঙ্গে একটি ট্রাক পুড়িয়ে বিক্ষত করে। আব্দুর রউফ মিয়া, মামুন মিয়া ও স্বপন মোল্লার জমি দখল, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসাসহ নানা অপকর্মের বিরুদ্ধে বরাবর সোচ্চার ভূমিকা পালন করাই যেনো কাল হলো জাকারিয়া মোল্লার। জানা যায়, গত ২০০৯ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে স্থানীয় এমপি গোলাম দস্তগীর গাজীর হাত ধরে বিএনপি থেকে ভোল পাল্টে আওয়ামী লীগার বনে যাওয়া- আব্দুর রউফ মিয়া, মামুন মিয়া ও স্বপন মোল্লা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় একটি অপরাধ সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন। জমি দখল, চাঁদাবাজি, লুটপাট, ফিটিংবাজি, বিচার বাণিজ্য, মাদক ব্যবসা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পরিচালনা করতেন তারা। এসব অপকর্মকে কখনো সায় দেননি তারাবো পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাহবুবুর রহমান মোল্লা জাকারিয়া। এর জেরেই হামলা করা হয়েছে। একই সঙ্গে কাউন্সিলরের কার্যালয়ে ঢুকে নগদ ৮ লাখ টাকা লুটসহ বসতবাড়ি ও শিল্পকারখানায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে হামলাকারীরা। এ ঘটনায় আরো জড়িত ছিলেন- ১. বাবুল শিকদার, ২. ইলিয়াস শিকদার, ৩. সেলিম ভূঁইয়া, ৪. নাদিম, ৫. শুভ মীর, ৬. কাদির, ৭. সেলিম শিকদার, ৮. শাহ জালালসহ আরো অজ্ঞাতনামা ৫০-৬০ জন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত