পটপরিবর্তনের পর গত ৫ আগস্ট নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের রাজগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি পুলক ভূঁইয়ার বাড়িতে ঐ দিন সন্ধ্যায় জেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক জিয়াউর রহমান সুমনের নেতৃত্বে ভাঙচুর করা হয়। এ সময় বাড়ির সব আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। এতে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে জানান পুলক। তিনি বলেন, গত ৫ আগস্ট সন্ধ্যায় একদল উত্তেজিত সন্ত্রাসী দল এ হামলা চালায়। এ সময় সুমন মটরসাইকেল নিয়ে পিছনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। শুধু তাই নয়, তার নেতৃত্বে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে হামলা চালানো হয় বলে জানা যায়। সুমনের সন্ত্রাসী গ্রুপ সিএনজি স্টেশন দখল, চাঁদাবাজি, মোটরসাইকেল ছিনতায়সহ নানা অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে ইজারা নেয়া ব্যাক্তিকে (ফরহাদ মেম্বার) টাকা না দিতেও রাজগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ীদের হুমকী ধামকী দিচ্ছেন সুমনের সন্ত্রাসী দল। শুধু তাই নয়- ৬ আগস্ট রাতে রাজগঞ্জের মদিনাবাজারে কৃষ্ণের দোকানসহ প্রায় ৬টি দোকানে অগ্নি-সংযোগ করা হয়। এতে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। যুবলীগ সভাপতি পুলক ভূঁইয়ার বাড়ি ভাঙচুরের পরপরই এই ঘটনাও জনমনে নানা প্রশ্নের জন্ম দেয়। উল্লেখ্য, গত ৭ আগস্ট রাজগঞ্জ ইউনিয়নে সর্বদলীয় সন্ত্রাস ও দুর্বৃত্তায়ন প্রতিরোধ কমিটি গঠিত হয়, এতে সুমনকে সভাপতি ও জামায়াত নেতা শাহজানকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করা হয়।