সরকারী নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের কোবাদক ফরেস্ট কর্মকর্তার সহযোগিতায় অভয়ারণ্যে চলছে মাছ ও কাঁকড়া আহরণ। বর্তমানে সুন্দরবনে জেলে ও জলযান প্রবেশ নিষেধ রয়েছে। অথচ এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে কোবাদক স্টেশন অফিসের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারী জেলেদের সাথে চুক্তিতে সুন্দরবন প্রবেশ করছে এবং অভ্যয়ারণ্যে মাছ ধরার জন্য ফাঁড়িগুলোর সঙ্গে নতুন করে চুক্তি করতে হচ্ছে প্রতি গোনে (১৫ দিনে ১ গোন) প্রতিটা বন ফাঁড়িতে দিতে হচ্ছে ৩০ হাজার টাকা এবং যে সব বনফাঁড়ির সামনে দিয়ে মাছ ও কাঁকড়া বহন করা হবে সে সব ফাঁড়িতে নৌকা প্রতি ১ হাজার টাকা এবং নৌ পুলিশকে ও নৌকা প্রতি টাকা দিতে হচ্ছে। সুন্দনবনে নদী ও খাল যেমন নোটাবেকী, পুষ্পকাটি, হলদেবুনিয়া, দোবেকী, পাকড়াতলী, আঙরাকোনা, বালিঝাকি, মেঠে, মান্দারবাড়ীয়া, ছায়াসহ বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে হাজার মানিক ডিঙ্গি নৌকা যা আবাধে মাছ ধরছে। ঊর্ধ্বতন বন কর্তৃপক্ষ টহলে আসলে ফাঁড়িগুলো সংকেত দিচ্ছে। তখনই মাছ ও কাঁকড়া ধরা নৌকাগুলো ছোট ছোট খালে আশ্রয় নিচ্ছে।
জেলেরা জানান, সরকারিভাবে মাছ ধরার অনুমতি নিতে ৩ জনের বহনকারী জেলের জন্য সরকারি রাজস্ব রয়েছে ৩৪৫ টাকা অথচ বন বিভাগের কোবাদক স্টেশনে দিতে হচ্ছে ৩০ হাজার ও অন্যান্য ফাঁড়ি ও নৌপুলিশকে দিতে হচ্ছে টাকা তাতে মাছ বা কাঁকড়া ধরতে এক ডিঙ্গি নৌকার জন্য খরচ হচ্ছে এক লাখ টাকা। কিন্তু মাছ বিক্রি হয় ২ লাখ টাকার মতো। অভয়ারণ্যে মাছ ও কাঁকড়া না ধরার সুযোগ পেলে বন বিভাগ ও নৌ পুলিশকে যে টাকা দিতে হচ্ছে, সে খরচ ও উঠেনা মম্ভব হয় না, সে কারণে অভয়ারণ্যে মাছ ধরার সুযোগ করে নিতে হয় বলে জেলেরা জানান।
কয়বার জেলে আব্দুল হামিদ জানান, বর্তমান কোবাদক অফিসের দায়িত্বরত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন যোগদান করে টাকার পরিমাণ আরো বৃদ্ধি করেছে। দাতনেখালীর জেলে সাগর কয়য়াল জানান, কোবাদক স্টেশন অফিসারকে ম্যানেজ করে বনে প্রবেশ করি এবং অভয়ারণ্যে মাছ ধরতে ম্যানেজ করতে হয় ফাঁড়িগুলোকে। এ ব্যাপারে কথা হয় কোবাদক বন স্টেশন অফিসার আনোয়ার হোসনের সঙ্গে তিনি বলেন, আমি ৩ মাস হলো যোগদান করেছি। আমার সময় কালে কোনো অনিয়ম হয়নি। কথা হয় সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) এম কে এম ইকবাল হোসাইনের সঙ্গে তিনি বলেন, অভয়ারণ্যে প্রবেশ করে যারা অবৈধ সুযোগ নেয় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। অভয়ারণ্যে আবাধে মাছ ধরার কারণে সুন্দরবনের নদী ও খাল হচ্ছে মৎস্যজাত প্রাণী শূন্যে।