পাবনার সাঁথিয়া সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক বিজয় কুমার দেবনাথের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার অনিয়ম, অর্থ আত্মসাৎ, দুর্নীতি, ছাত্রীদের অনৈতিক প্রস্তাবসহ নানা অপকর্মের বিরুদ্ধে ফুসে ওঠেছে শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকগণ। প্রধান শিক্ষকের অপসারণ চেয়ে বিদ্যালয়ের একটি লিখিত অভিযোগ মাধ্যমিক ও উচ্চ ম্যাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ১৮ জন শিক্ষক। অন্যদিকে প্রধান শিক্ষকের অপসারণের ১দফা দাবিতে গত দুই দিন ধরে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছে। তারা গত বুধবার ও গতকাল বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ মিছিল শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর ছাত্রীকে কু প্রস্তাব, রশিদবিহীন অতিরিক্ত অর্থ আদায়, প্রতিবাদী শিক্ষার্থীদের হয়রানী ও নির্যাতন করা, ছাত্র/ছাত্রীদের অকথ্য ভাষায় গালাগালসহ ৭টি অনিয়ম উল্লেখ করে স্মারকলিপী প্রদান করে। শিক্ষকেরা অভিযোগে জানান, বিগত শাসন আমলে ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু জোরপূর্বক ও মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আশির্বাদপুষ্ট হয়ে নিয়োগ লাভ করে। তিনি যোগদানের পর থেকেই বিদ্যালয়ের আর্থিক অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহার, ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেয়া, বিদ্যালয়ের পরিচালনায় অদক্ষতা, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা ও শিক্ষকদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করা, কোচিং বাণিজ্যে ২০১২ লঙ্ঘন করাসহ প্রতিবাদী ছাত্র শিক্ষকরেদর বিভিন্নভাবে হয়রানী ও নির্যাতন করাসহ বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত তিনি। শিক্ষকেরা আরো জানান আমরা দীর্ঘদিন কোনো প্রতিবাদ করতে পারিনি। প্রতিবাদ করতে গেলেই আমাদের বিভিন্নভাবে হয়রানী ও নির্যাতন করা হতো। সময় এসেছে প্রতিবাদ করার। শিক্ষকেরা আরো বলেন অবিলম্বে দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষকের অপসারণ করে বিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠ পরিবেশ ফিরে আনার দাবি জানাই বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে। দাবি না মানলে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেন শিক্ষক- শিক্ষার্থীরা। অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য নিতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিজয় কুমার দেবনাথের কাছে জানতে তার কার্যালয়ে গেলে তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। মোবাইলে ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। এ ব্যাপারে জানতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুল ইসলাম বলেন, শিক্ষক ও ছাত্র/ছাত্রীদের অভিযোগ পেয়েছি। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আমিও শুনেছি। আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। নির্দেশনা এলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
