কুমিল্লার তিতাসে শিক্ষার্থীদের রংতুলির আঁচড়ে জরাজীর্ণ দেয়াল হয়ে উঠেছে প্রতিবাদের প্রতিচ্ছবি। উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দেয়ালে আঁকা গ্রাফিতি ও দেয়াল লিখনে মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রতিভা ও ভাবনা বহিঃপ্রকাশ করেছে। শিল্পী না হয়েও শিল্পের সুষমায় প্রাণের উচ্ছ্বাস ঘটিয়েছে। উপজেলায় বৃহত্তর গ্রাফিতি আঁকা হয়েছে গাজীপুর খান সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সীমানা প্রাচীরে। গৌরীপুর-বাঞ্ছারামপুর ভায়া হোমনা সড়কের চলাচলকৃত সকলের নজর পড়ছে এ গ্রাফিতি ও দেয়াল লিখনে। এছাড়াও থানা ভবনের প্রাচীর, মাছিমপুর আর আর ইনস্টিটিউশনের প্রাচীরসহ বিভিন্ন স্থানে শোভা পাচ্ছে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের ভাষা। অগ্নিকুণ্ডের ভেতর থেকে মশাল হাতে গ্রাফিতিতে লিখেছে ‘গর্জে ওঠো আবারো’। আলোকছটা ও রক্তেভেজা দুটি মোমবাতির পাশে শোভাপাচ্ছে ‘৫২ দেখিনি, ২৪ দেখেছি’। ‘পানি লাগবে পানি’ এমন লিখনীতে ছোট্ট করে জুড়ে দেওয়া হয়েছে ‘মুগ্ধর মতো মানবিক হও’। একটি গাছের থোকায় থোকায় লালফুলের মাঝে বড় করে লেখা হয়েছে ‘একতাই বল’। কালো গ্রাফিতির ভেতর থেকে বের করে আনা হয়েছে ‘কারার ঐ লোহ কপাট’। ‘স্বাধীনতা এনেছি সংস্কারও আনবো, বিকল্প কে তুমি আমি, ভয়ের দেয়াল ভাঙলো এবার জোয়ার এলো ছাত্র জনতার, খেটে বড় হও চেটে নয়, সকল অসঙ্গতি করিয়া দূর যেতে হবে বহু দূর’ শিল্প আর আবেগের এই মেলবন্ধনে শিশু থেকে বৃদ্ধ; সকলের নজর কাড়ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাজিরুল ইসলাম মামুন জানান, উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সরকারি স্থাপনার প্রাচীরগুলো খুবই জরাজীর্ণ। এসব জরাজীর্ণ দেয়ালগুলো শিক্ষার্থীদের ভাবনায় নতুন রূপে ফোটে উঠেছে। এটাও ছাত্র আন্দোলনের একটা অংশ। গাজীপুর খান সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী তানিয়া আক্তার জানান, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় আমরা গ্রামে আসতে হয়েছে। কলেজের শিক্ষার্থীদের আগ্রহে আমরাও এগিয়ে এসেছি এ দেয়াল লিখনে।