ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কয়লা খনির আউটসোর্সিং কর্মচারীদের সংবাদ সম্মেলন

কয়লা খনির আউটসোর্সিং কর্মচারীদের সংবাদ সম্মেলন

দিনাজপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টায় বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির আউটসোর্সিংয়ে কর্মরত ৮৭ জন রিট আবেদনকারীর পক্ষে মো. তোফায়েল আহমেদ। লিখিত বক্তব্যে বলেন, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে দীর্ঘ ২২ বছর যাবত দায়িত্ব পালন করে আসছি আমরা রিট পিটিশনকারী ৮৭ জন কর্মচারী।

২০০৯ সালে কোম্পানীর স্থায়ী পদে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় শুধুমাত্র কর্মকর্তাদের নিয়োগ প্রদান করা হয়। অজ্ঞাত কারণে বন্ধ রাখা হয় কর্মচারী নিয়োগ প্রক্রিয়া। যদিও ইতিপূর্বে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে কোম্পানিতে কর্মরত কর্মচারীদের বয়স ও শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করে স্থায়ীকরণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি। কোম্পানির আউটসোর্সিং কর্মচারীদের বঞ্চণার বিষয়টি ২০১৩ সালে জেলা প্রশাসকগণের সম্মেলনে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কর্মচারীদের স্থায়ীকরণের পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশনা প্রদান করেন এবং তা সাবেক মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের পত্রে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবগত করা হয়। কিন্তু এরপরেও নির্দেশনা বাস্তবায়িত হয়নি। এতে নিরুপায় হয়ে আউটসোর্সিংয়ে কর্মরত ৮৭ জন কর্মচারী ২০১৮ সালে চাকরি স্থায়ীকরণের লক্ষ্যে হাইকোর্টে উপযুক্ত দলিলসহ রিট পিটিশন দায়ের করেন। এরপর দাখিলকৃত কাগজপত্রাদি দেখে উভয়পক্ষের ব্যারিষ্টারগণের যুক্তিতর্ক শেষে বয়স ও শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করে ২০০৯ সনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির অধীনে এবং সেই সময়ে বিদ্যমান সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী কর্মচারী পদে স্থায়ী নিয়োগের প্রক্রিয়াটি ৩ মাসের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশনা দিয়ে রায় প্রদান করেন হাইকোর্টের বিজ্ঞ বিচারপতিরা। পরবর্তীতে বিসিএমসিএল কর্তৃক হাইকোর্ট বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল এবং সুপ্রিমকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ পিটিশন দায়ের করলে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে আপিল ও রিভিউ ডিসমিস করে দেন। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে আউটসোর্সিং কর্মরত ৮৭ জন রিট আবেদনকারীর পক্ষে হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন আউটসোর্সিং কর্মরত কর্মচারীরা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত