লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার হোটাটিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে হোটাটিয়া কফিল উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় নামকরণের চেষ্টা করেন একটি মহল। সৃষ্ট ঘটনায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক- শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ গ্রামবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ১১টায় গ্রামবাসি, বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবকেরা বিদ্যালয়ের নাম হোটাটিয়া উচ্চ বিদ্যালয় বহাল তবিয়তে রাখার জন্য মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে। মানববন্ধনে বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মো. বাবর হোসেন দেওয়ান এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয় দাতা সদস্য মো. ইমরুল মেহেদী খান, অভিভাবক সদস্য মাষ্টার আমির হোসেন, মো. আব্দুল কুদ্দুস, শিক্ষক মোহাম্মদ আলী হোসেন, শিক্ষার্থী রাশেদ আলম, ফারিয়া আক্তারসহ অনেকে। বক্তরা বলেন হোটাটিয়া উচ্চবিদ্যালয় ১৯৯৯ সাল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক বিদ্যালয় এমপিও ভুক্তসহ সব কাগজপত্রে বিদ্যালয়ের নাম হোটাটিয়া উচ্চবিদ্যালয় এবং বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব মো. জাকির হোসেন পাটোয়ারী লেখা আছে। কিন্তু গত শুক্রবার বিদ্যালয় সাইনবোর্ড ফেলে দিয়ে কতিপয় দুর্বৃত্ত কপিল উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় নামক সাইন বোর্ড ঝুলিয়ে দেয়। এতেকরে স্থানীয় শিক্ষক-শিক্ষার্থী অভিভাবক গ্রামবাসী সহ নানা পেশাজীবীরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।
বক্তারা আরো জানান আলহাজ্ব মো. জাকির হোসেন পাটোয়ারী বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রায় ২০ বছর নিজস্ব অর্থায়নে শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন ভাতা দিয়েছেন। ২০১৯ সালে তিনি নিজের পকেটের টাকা খরচ করে বিদ্যালয়টিকে এমপিওভুক্ত করেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবর দেওয়ান, দাতা সদস্য ইমরুল মেহেদী, সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ আলী হোসেন জানান এর আগে গ্রামবাসী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বিদ্যালয়টি আলহাজ্ব মো. জাকির হোসেন পাটোয়ারীর নামে নামকরণ করা হোক। কিন্তু জাকির হোসেন পাটোয়ারী এই সিদ্ধান্ত প্রত্যখ্যান করেছেন। তখনই গ্রামবাসী বিদ্যালয়টির নামকরণ করেন হোটাটিয়া উচ্চ বিদ্যালয় এবং প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব মো. জাকির হোসেন করা হয়েছে।