বর্তমান সময়কে ব্যবহার করে সন্ত্রাসীরা সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার খলিশাখালিতে গত ৮ আগস্টে তিনশ’ জন মালিকানাধীন রেকর্ডীয় ১৩২০ বিঘা জমি জবরদখল ও মৎস্য ঘের লুটপাট করেছে। এ ঘটনায় দেবহাটা উপজেলার কিছু বিএনপি নেতার ইন্ধনে সন্ত্রাসী মকরমের নেতৃত্বে সাধারণ মানুষের জমি দখল হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে এ ঘটনায় দেবহাটা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব মহিউদ্দিন মোল্লার নাম উঠে আসে। দেবহাটার খলিসাখালির ব্যক্তি মালিকানাধীন ১৩২০ বিঘা জমিতে গত বছরে সন্ত্রাসী আনারুল, স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য মকরম ডাকাত, আকরাম ডাকাত, নোড়া চরকাটার মাদক ব্যবসায়ী সাইফুল ও রবিউল ডাকাতদের বাহিনীরা অবৈধভাবেই দখল নেয়া জবরদখল করে শেখ মুজিব আবাসন প্রকল্পের নামে সাইনবোর্ড টানিয়েও দখলে রাখতে পারেননি। তখন ভূমি সন্ত্রাসীরা আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় ঘেরে লুটপাট চালায়। বর্তমান ক্ষমতার পটপরিবর্তনকে কাজে লাগিয়ে তারা আবারো এই সম্পত্তি দখল ও লুটপাট করেছে। পারুলিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক বাবু বলেন, বিএনপির নাম ব্যবহার করে নিজের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে মহিউদ্দিন মোল্লা দেবহাটার খলিসাখালির মৎস্য ঘের দখলে মদত দিচ্ছেন। তারই মদতে ভূমি সন্ত্রাসীরা খলিসাখালিতে মালিকানাধীন ১৩২০ বিঘা জমি জবরদখল ও মৎস্য ঘের লুটপাট করেছে। এখনই যদি তার এই কর্মকাণ্ডে লাগাম টেনে ধরা না হয় তাহলে সে আরো ভয়ংকর হয়ে উঠবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক স্থানীয় নেতা বলেন, মহিউদ্দিন মোল্লার বিরুদ্ধে অতীতের থানায় দালালী, সন্ত্রসীদের মদত দেয়ার অভিযোগ ছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে তিনি গাঢাকা দেন। এবং দলে নিস্কৃয় ছিল। বিএনপি ১৯৯১ সালে ক্ষমতায় আসলে ছাত্র মৈত্রী থেকে বিএনপিতে যোগ দেয় এবং স্থানীয় বিএনপিকে দ্বিধাবিভক্ত করে নিজের বলয় তৈরি করে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, আমরা স্থানীয়রা সব সময় আতঙ্কে থাকি। সন্ত্রাসীরা খলিশাখালির মালিকানা রেকর্ডীয় সম্পতি জবরদখল ও মৎস্য ঘের লুট করে এখানে সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের ঘাটি ও মাদক ব্যবসার আঁখড়া গড়ে তুলছে। এ ঘটনায় এখানকার শিশু, বৃদ্ধসহ সাধারণ মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। দ্রুত এই সন্ত্রাসীদের উৎখাতের ব্যবস্থা করতে প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান তারা। জমির একজন মালিক আনারুল ইসলাম জানান, এব্যাপরে খলিশাখালী জমির মালিকগণ ও দেবহাটা উপজেলার শান্তিকামী জনগণ এই জবরদখল ও লুটপাট বন্ধে প্রশাসন ও বিএনপির উর্দ্ধতন নেতাদের হস্তকেপ কামনা করেছে। কোন কোন সুযোগ সন্ধানী নেতা প্রকাশ্যে নিরবতা বা নিরপেক্ষতা দেখালেও ভেতরে তাদের ইন্ধন আছে। তারা দেশের বর্তমান পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছে। জানতে চাইলে অভিযুক্ত দেবহাটা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মহিউদ্দিন মোল্লা তার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। এ ব্যাপরে খলিশাখালী জমির মালিকগণ ও দেবহাটা উপজেলার শান্তিকামী জনগণ এই জবরদখল ও লুটপাট বন্ধে প্রশাসন ও বিএনপির ঊর্ধ্বতন নেতাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।