সুনামগঞ্জে পৌর শহরে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ এর অন্যতম সমন্বয়ক ইমন দ্দোজা আহমেদ দুর্বৃত্তদের হামলা ও বেধড়ক মারধরের শিকার হয়েছেন। গত শনিবার রাতে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের হাসননগরের প্রিয়াঙ্গন মার্কেট এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই সুনামগঞ্জে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন হামলায় আহত হওয়া ইমনদ্দোজা আহমেদের নামের এই শিক্ষার্থী।
তিনি সিলেট এমসি কলেজের বিবিএ শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শহরের হাসননগর এলাকায় একটি রেস্টুরেন্টে থেকে খেয়ে বের হয়ে ইমন দ্দোজা আহমেদ, শিক্ষার্থী নাহাত হাসান পৌলোমী ও মিঠুসহ তিনজন শিক্ষার্থী মিরর শো-রুমের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। এ সময় ৭ থেকে ৮ জন ছেলে দৌড়ে এসে আওয়ামী লীগের দালাল বলতে বলতে ইমন দ্দোজাকে বেধড়ক মারধর শুরু করে। সে সময় আশপাশের কেউ এগিয়ে না আসলেও সঙ্গে থাকা নারী শিক্ষার্থী নাহাত হাসান পৌলোমী একাই ইমনকে হামলা কারীদের মারধর থেকে বাচানোর চেষ্টা করতে দেখা যায়। পরে অন্য শিক্ষার্থীরা এসে আহত ইমনকে উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। হামলায় আহত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয় ইমন দ্দোজা আহমেদ বলেন, কর্মসূচি নিয়ে আমরা আলাপ করছিলাম। হঠাৎ কয়েকজন ছেলে চলে এসে আমাকে জিজ্ঞেস করে ‘তুই ইমন না’। এই বলেই আমাকে মারধর শুরু করে। সুনামগঞ্জের এক সাংবাদিকের নাম উল্লেখ করে তিনি আরো লিখেছেন, আজকে প্রেস ব্রিফিং এ এক চাটুকার সাংবাদিক শুরু করেছে এই বিভেদের খেলা। আমরা নাকি আওয়ামী লীগের দালাল।
দেখেন পৌরসভার গিয়ে নিজের অধিকার আদায় করা কোনো দালালির মধ্যে পড়ে না। এই হামলা একটা প্রি প্ল্যান্ড হামলা ছিল। অনেক চুপ ছিলাম সিনিয়রদের কথা শুনে। আর সম্ভব না কারণ আজকে যখন দরকার ছিল তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আমার চোখে পড়ে নাই। পারলে একা লড়াই করবো কিন্তু সত্য বলে যাবো। সুনামগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আহাদ বলেন, হামলার ঘটনায় ভিকটিম তারা রাত ১২ পর্যন্ত থানায় ছিল। অভিযোগ এখনো দেয় নি। কিছু সংশোধনীর ব্যাপার নাকি আছে, সেটা করে অভিযোগ দিবে। আমরা অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।
