থামছেই না আন্দোলনে নিহত জিহাদের পরিবারে কান্না
প্রকাশ : ১৯ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
কুমিল্লা প্রতিনিধি
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইল এলাকার ‘ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ (ডিএমআরসি)’ এর দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী জিহাদ হাসান ওরফে মাহিন। কোটা সংস্কার আন্দোলনে গিয়ে গত জুলাইয়ে ছররা গুলি লাগে জিহাদ হাসানের পায়ে। চিকিৎসায় কিছুটা সুস্থ হয়ে সে আবারো আন্দোলনে যোগ দেয়। একপর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের জেরে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের দিন গত ৫ আগস্ট রাজধানীর শনির আখড়া এলাকায় মিছিলে গিয়ে সে এবার কপালে গুলিবিদ্ধ হয়ে চলে যায় না ফেরার দেশে। মেধাবী এই ছাত্রের মৃত্যুতে পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। কান্নার রোল যেন থামছেই না জিহাদের পরিবারে। শোকে যেন বাকরুদ্ধ হয়ে আছেন আন্দোলনে শহীদ জিহাদের বাবা-মা ও স্বজনসহ প্রতিবেশীরা। ছেলের ছবি দেখে দেখে শোকে পাথর বাবা-মা, তাদের শান্তনা দেয়ার ভাষাও যেন হারিয়ে ফেলেছেন শোকার্ত স্বজন-প্রতিবেশীরা। নিহত জিহাদ হাসান মাহিন (১৭) কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার ঢাকারগাঁও গ্রামের আলম মিয়ার ছেলে। স্থানীয়রা জানায়, দাউদকান্দির ঢাকারগাঁও গ্রামে জিহাদ হাসানের বাড়িতে তার মা কোহিনুর আক্তারের হৃদয়ছোঁয়া কান্না আর পরিবারের লোকজনের আহাজারির শব্দে পরিবেশ ভারি হয়ে উঠে। প্রতিবেশীদের অনেকে ওই বাড়িতে যান। শোকাবহ বাড়িতে কান্নার শব্দে তাদের অনেকে নীরবে চোখের পানি মুছেন। এদিকে ছেলের কথা বলতে বলতে হাউমাউ করে কেঁদে উঠেন মা কোহিনুর আক্তার। ছেলের ছবি বুকে জড়িয়ে অসহায়ের মতো ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকেন। কখনো চিৎকার করে বলেন, ‘বাবা জিহাদ, মৃত্যুর সময় তুমি কেমন করছিলা! আমাকে মা মা করে ডাকছিলা, বাবা! বাবাগো আমিতো তোমার ডাকে সাড়া দিতে পারি নাই।’ বুক চাপড়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে তিনি বলেন, ‘আন্দোলনে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরল আমার ছেলে।