ঢাকা ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সাবেক দুই মন্ত্রীসহ হত্যা মামলায় ৫৬ জন

সাবেক দুই মন্ত্রীসহ হত্যা মামলায় ৫৬ জন

টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও এমপি-মেয়র এবং আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনের ৫৬ নেতাকর্মীর নামোল্লেখ এবং আরো ১৫০-২০০ জনকে অজ্ঞাত উল্লেখ করে টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ ও গুলিতে নিহত স্কুলছাত্র মো. মারুফ মিয়ার মা মোছা. মোর্শেদা গত রোববার রাতে মামলাটি দায়ের করেন। টাঙ্গাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. লোকমান হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এজাহার সূত্রে জানা যায়, মামলায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী ডক্টর আব্দুর রাজ্জাক ভোলা, সাবেক বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক এমপি মো. ছানোয়ার হোসেন, সহ-সভাপতি খন্দকার আশরাফুজ্জামান স্মৃতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি তানভীর হাসান ছোট মনি সহ প্রমুখ।

এছাড়া টাঙ্গাইল পৌরসভার ৭জন কাউন্সিলর সহ মামলায় ৫৬ জনের নামোল্লেখ এবং ১৫০-২০০জনকে অজ্ঞাত হিসেবে আসামি করা হয়েছে। মামলায় গত ৫ আগস্ট সন্ধ্যায় ছাত্র-জনতার আনন্দ মিছিলে যোগ দিতে গিয়ে শাহীন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র ও শহরের সাবালিয়া এলাকার সৌদী প্রবাসী মজনু মিয়ার ছেলে মো. মারুফ মিয়া শহরের মেইন রোডস্থ সিটি ব্যাংকের দোতলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। মামলার এজাহারে ওই ঘটনার বিষদ বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। মামলার বাদী মোছা. মোর্শেদা জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের পর তার ছেলে আনন্দ মিছিল করতে গিয়ে নিহত হয়েছেন। তিনি ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. লোকমান হোসেন জানান, গত রোববার রাতে নিহত স্কুলছাত্র মারুফ মিয়ার মা থানায় উপস্থিত হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নম্বর ১৬। মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও মন্ত্রী-এমপি এবং পৌর মেয়র ও কয়েকজন কাউন্সিলরকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তিনি জানান, মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন- আসামিরা আত্মগোপণে আছেন। তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত