নওগাঁয় দাম কমেছে কাঁচা মরিচের
প্রকাশ : ২১ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নওগাঁ প্রতিনিধি
আমদানির খবরে নওগাঁয় ৩ দিনের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম কমেছে কেজিতে ১০০ টাকা পর্যন্ত। নওগাঁয় পাইকারিতে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৫০ টাকা কেজি। দাম কমায় হতাশ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কৃষকরা। তবে ভোক্তাদের মাঝে কিছুটা স্বস্থি ফিরেছে। গতকাল মঙ্গলবার নওগাঁ সদর উপজেলার কীর্ত্তিপুর সাপ্তাহিক হাটবার।
এ হাটে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয় ১২০-১৫০ টাকা কেজি। গত ৩ দিন আগেও এ হাটে মরিচ বিক্রি হয়েছে ২৫০ টাকা কেজি। যা খুচরা বাজারে বিক্রি হয়েছে ৩৫০-৪০০ টাকা পর্যন্ত। এ হাটের মরিচ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ হয়ে থাকে। হাটে পর্যাপ্ত মরিচের সরবরাহ রয়েছে। কিন্তু তারপরও দাম কম। কৃষকরা বলছেন- বর্তমানে মৌসুমের শেষ সময় হওয়ায় গাছ মরে যাচ্ছে। এতে মরিচের উৎপাদনও কম হচ্ছে। ভালো দাম পাওয়ার আশায় মরিচ হাটে বিক্রি করতে এসে কম হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন তারা। মৌসুম শেষে মরিচের দাম বেশি হওয়ার কথা থাকলেও সেখানে উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে। খেত পরিচর্চায় কীটনাশক প্রয়োগসহ বাড়তি শ্রম দিয়েও কাঙ্খিত দাম না পাওয়ায় লোকসানের আশঙ্কা করছেন তারা। কৃষক আকরাম হোসেন বলেন- ৫ কাঠা জমিতে মরিচের আবাদ করেছি। কিছুদিন আগেও জমি থেকে প্রতি সপ্তাহে ৪০-৫০ কেজি মরিচ পাওয়া যেতো। তখন দাম ছিল ১২০-১৪০ টাকা কেজি। বর্তমানে মরিচ পাওয়া যাচ্ছে ১৫-২০ কেজি। হাটে ভালো দাম পাওয়ার আশায় নিয়ে আসা হলেও বিক্রি হয়েছে ১৫০ টাকা কেজি। এ দামে আমাদের পক্ষে লাভবান হওয়া সম্ভব না। আরেক কৃষক আব্দুর রশিদ বলেন- মৌসুমের শেষ হওয়ায় জমি থেকে কম পরিমাণ মরিচ পাওয়া যাচ্ছে। পরিচর্চা করেও টিকিয়ে রাখা সম্ভব হচ্ছে না।
মরিচের দাম কম হলেও পরিচর্চায় কিন্তু খরচ কম হচ্ছে না। খরচ আগের মতোই হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন মরিচ আমদানি শুরু হওয়ায় তারা কম দামে কিনতে বাধ্য হচ্ছে। কৃষকরা আসলে সব সময় লোকসানের ভাগই বেশি। কৃষকদের লাভবান করতে হলে কৃষি উপকরণ বিশেষ করে সার ও কীটনাশকের দাম কমাতে হবে। অন্যথায় লাভবান হওয়া সম্ভব না।
হাটের পাইকারি মরিচ ব্যবসায়ি রুস্তম আলি বলেন- ৩ দিন আগেও এ হাট থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে আমরা মরিচ কিনেছি। আমদানি শুরু হওয়ার পর কম দামে কি না হচ্ছে। কারণ বেশি দামে কিনে তো আমরা লোকসান করতে পারবো না। আমরা এ হাটে মরিচ কিনে ঢাকা ও চট্টগ্রামে সরবরাহ করা হয়।