ঢাকার ধামরাইয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে ৪ দিন ধরে অনশন করার অভিযোগ উঠেছে বিজয়া বিশ্বাস (২৪) নামে এক তরুণীর বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে গতকাল বুধবার ওই তরুণীর বিরোদ্ধে ধামরাই থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী যুবকের ছোট ভাই অমির সরকার।
অভিযুক্ত বিজয়া বিশ্বাস উপজেলার কুল্লা ইউনিয়নের চৌটাইল গ্রামের নারায়ণ বিশ্বাসের মেয়ে। প্রেমিক বিকাশ সরকার উপজেলার বাইশাকান্দা ইউনিয়নের বেরশ গ্রামের রামানন্দ সরকারের ছেলে। বিকাশ বর্তমানে ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ে ভোলা জেলায় কর্মরত আছেন। অভিযোগ সূত্রে ও সরেজমিন গেলে জানা যায়, প্রায় ২ বছর আগে ফেসবুকে পরিচয়ের মাধ্যমে বিকাশ ও বিজয়ার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
পারিবারিকভাবে বিজয়ার বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব পাঠালে তা প্রত্যাখ্যান করে বিজয়ার পরিবার। পরবর্তীতে অন্যত্র বিয়ে করে বিজয়া। এ বিষয়ে জানতে পেরে বিকাশ সরকার অন্য মেয়ের সাথে আশীর্বাদে বসে। বিকাশ সরকারের আশীর্বাদের পরের দিনই তার বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশনে বসে বিজয়া।
এ বিষয়ে বিজয়া বলেন, আমাকে বিয়ে করার কথা বলে বিভিন্ন জায়গায় চলাফেরা করেছে বিকাশ। এখন সে আমাকে রেখে অন্য মেয়েকে বিয়ে করছে, সেটা জানার পর আমি বিয়ের দাবিতে অনশনে বসি। এ বিষয়ে বিকাশ সরকার বলেন, দুই বছর হলো বিজয়ার সাথে আমার ফেসবুকে পরিচয়।
অথচ বিজয়া তার নানা বাড়ি এলাকায় সঞ্জয় নামে এক ছেলের সাথে বিয়ের বিষয়ে গোপন করে আমার সাথেও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে কিন্তু পরে আমি বিষয়টি জানার পর যোগাযোগ বন্ধ করে দেই। এখন সে আমার বাড়িতে এসে আমার পরিবারকে হয়রানি করছে। তাই আমার ছোট ভাই এ বিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। পরে কালিয়াকৈর উপজেলার ডালজোড়া ইউনিয়নের দেওয়াইর এলাকায় গেলে বিজয়ার চাচাতো নানা, চাচাতো মামা লালমোহন, স্থানীয় মেম্বার জয়নাল হক। স্থানীয় মাতাব্বর আব্দুস সামাদ জানায়, গত বছর ডিসেম্বরে নাগরপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের কাঠুরি গ্রামের সুধীর সরকারের ছেলে সঞ্চয় সরকারের সঙ্গে বিজয়ার কোর্ট এভিডেভিড-এর মাধ্যমে বিয়ের বিষয়ে লাল মোহনের বাড়িতে বসে স্থানীয় মেম্বার-চেয়ারম্যান ও গ্রাম্য মাতবরা একটি গ্রাম্য সালিশ করে, সালিশে ২০ লাখ টাকা বিজয়াকে দিতে হবে, এমন রায়ের পরিপেক্ষিতে মোট ৬ লাখ টাকায় মিটমাট হয়।