গাজীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নূর আলম (২২) নামে এক শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমি, মেহের আফরোজ চুমকি, রুমানা আলী টুসি, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্ল্যাহ খান, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ, মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা মতিউর রহমান মতিসহ ১৩৬ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ১০০-১৩০ জনকে আসামি করে বাসন থানায় মামলা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বাসন থানায় মামলা করেন নিহত নূর আলমের বাবা মো. আমির আলী (৪৪)। বাদীর বাড়ি কুড়িগ্রাম সদরের মোল্লাপাড়া মধ্য কুমরপুর এলাকায়। তিনি গাজীপুর নগরের বাসন থানার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের তেলিপাড়া এলাকার চিকিৎসক নাহিদের বাড়িতে ভাড়া থাকেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, গত ২০ জুলাই সকালে শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ছয়জনের নির্দেশে বন্দুক, পিস্তল, লাঠি, লোহার রড, রামদা, ছেন, চাপাতি, কোবাসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কের তেলিপাড়াস্থ হানিমুন রেস্টুরেন্টের সামনে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার উপর হামলা করা হয়। এক পর্যায়ে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খান ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ সেখানে উপস্থিত থেকে এবং হুকুম দিয়ে অন্য আসামিদের দিয়ে ছাত্র-জনতার উপর গুলি করান। ঘটনার পর ছেলের মৃত্যুর বিষয়ে শোকাহত হয়ে এবং পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে কোনো আইনি সহায়তা নেননি তিনি। পরে বিবাদীদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করতে এবং দেশের বিদ্যমান অরাজকতা পরিস্থিতির কারণে মামলা করতে দেরি হয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়। গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলা রেকর্ড হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।