দুই শহীদের পিতার আর্জি

‘রাষ্ট্র যেন আমার সন্তানের কথা মনে রাখে’

প্রকাশ : ২৩ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নারায়ণগঞ্জ (সোনারগাঁ) প্রতিনিধি

বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার দুই শহীদের পরিবারের শোক কাটছেই না। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচার মুক্ত নতুন বাংলাদেশ উদযাপন করছে জনগণ। অনেক তরুণ প্রাণ ও রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই কোটা আন্দোলনের অন্যতম শহীদ সোনারগাঁয়ের দুই শিক্ষার্থী মেহেদী ও ইমরান। জিস্ট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মেহেদী আন্দোলনে অংশ নিয়ে গত ২০ জুলাই চিটাগাং রোডের ডাচ বাংলা মোড় এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন। আর মেঘনা শিল্পনগরী স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী ইমরান নিহত হন ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ীতে। হতদরিদ্র ইমরানের বাবা মো. ছানাউল্লাহ সোনারগাঁয়ে একটি কারখানায় দিন মজুরের কাজ করেন। আর শহীদ ইমরানের বাবা সালেহ আহমেদ মেঘনা টোলপ্লাজা সংলগ্ন ব্যাপারি বাজারে ছোট একটি দোকান চালান। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে ক্ষতিগ্রস্ত এই দুই শহীদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে একজন প্রবাসী। সোনারগঁয়ের কৃতিসন্তান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক ও বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ওসাকা ফার্মাসিউটিক্যালসের মুখ্য বিজ্ঞানী ডক্টর শাহানুর হোসাইন দেড় লাখ টাকা অর্থ সহায়তার মাধ্যমে তাদের পাশে দাঁড়ান। এই অর্থ পরিবারের কাছে তুলে দেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয়সহ সমন্বয়ক খালেদ হাসান, স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি অধ্যাপক ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল, স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য দেওয়ান হারুনুর রশিদ, পিরোজপুর ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য আফজাল হোসেনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। এ সময়, শহীদ মেহেদির বাবা সানাউল্লা মিয়া এবং শহীদ ইমরানের বাবা সালেহ আহমেদ দেশবাসীর কাছে তাদের সন্তানের রূহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া চেয়েছেন এবং পাশাপাশি রাষ্ট্রীয়ভাবে যেন তাদের সন্তানদের অবদানকে স্মরণ করা হয় সেই আকুতি জানিয়েছেন। এ সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সহ-সমন্বয়ক খালিদ হাসান বলেন, একজন সহকর্মী ও রাজপথের সহযোদ্ধাকে হারিয়ে শোকাহত গোটা ছাত্রসমাজ। ছাত্রদের এই অর্জনকে যেন কেউ বিপথে নিতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ সচেতন থাকার আহ্বান জানান তিনি।