ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

আন্দোলনের ৯ম দিন

সাঁথিয়ায় প্রধান শিক্ষককে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন

সাঁথিয়ায় প্রধান শিক্ষককে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন

ক্ষমতার অপব্যবহার, অর্থ আত্মসাৎ, অনিয়ম দুর্নীতি ও ছাত্রীদের কুণ্ডপ্রস্তাবসহ নানা অপকর্মের অভিযোগে পাবনার সাঁথিয়া সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক বিজয় কুমার দেবনাথের অপসারণের দাবিতে লাগাতার আন্দোলনের গতকাল ৯ম দিনেও বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকরা। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ২ ঘণ্টা ব্যাপী এ মানববন্ধনে দুপাশ থেকে রোড ব্লক করে দেয় শিক্ষার্থীরা। এতে প্রধান সড়কের দু’পাশের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুর্ভোগে পড়ে মানুষ। জনদুর্ভোগে পড়ে সড়কে চলাচলকারী স্থানীয়রা। কেউ এগিয়ে আসেনি। রাস্তা বন্ধ করে ২ ঘণ্টা ব্যাপী পাওয়া গেছে। মানববন্ধন করলেও কোনো পুলিশ বা উপজেলা প্রশাসনের কারো দেখা পাওয়া যায়নি। মানববন্ধনে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানায়, একজন পিতৃতুল্য শিক্ষক হয়ে কিভাবে আমার হাত ধরে বলে তোমার হাতের লোম কেমন দেখি পেটে হাত দিয়ে বলে আজ কি খেয়েছ।

জানা গেছে প্রধান শিক্ষক বিজয় কুমার দেবনাথের অপসারণের দাবিতে গত ১৪ আগস্ট বুধবার থেকে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে এবং গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে শিক্ষকেরাও তাদের সঙ্গে আন্দোলনে শরীক হন। ওই বিদ্যালয়ের ১৮ জন শিক্ষক প্রধান শিক্ষকের অপসারণ চেয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ ম্যাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগও দেন । অন্যদিকে প্রধান শিক্ষকের অপসারণের ১দফা দাবি নিয়ে তারা গত বুধবার ও গতকাল বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ মিছিল শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর নানা অভিযোগসহ ৭টি অনিয়ম উল্লেখ করে স্মারকলিপী প্রদান করে। শিক্ষকেরা অভিযোগে জানান, বিগত শাসন আমলে ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু জোরপূর্বক ও মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আশির্বাদপুষ্ট হয়ে নিয়োগ লাভ করে প্রধান শিক্ষক বিজয় কুমার দেবনাথ। তিনি যোগদানের পর থেকেই বিদ্যালয়ের আর্থিক অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহার, ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেয়া, বিদ্যালয়ের পরিচালনায় অদক্ষতা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা ও শিক্ষকদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করা, কোচিং বানিজ্যে ২০১২ লঙ্ঘন, প্রতিবাদী ছাত্র শিক্ষকদের বিভিন্নভাবে হয়রানি ও নির্যাতন করাসহ বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত তিনি। ওই বিদ্যালয়ের কারিগরি শিক্ষক প্রকৌশলী জয়নুল আবেদীন বলেন, প্রধান শিক্ষক বিজয় কুমার দেবনাথের চাকরি বৈধ নয়। যার সাক্ষ্য প্রমাণ তিনি নিজে। এমন কুরুচিপূর্ণ শিক্ষক আমাদের দরকার নেই। বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক রুহুল আমিন জানান, অদক্ষ, কুরুচিপূর্ণ মানুষিকতায় নৈতিক অবক্ষয়ে জর্জড়িত অর্থআত্মসাৎকারী প্রধান শিক্ষকের অপসারণ চাই। আমরা দীর্ঘদিন কোনো প্রতিবাদ করতে পারিনি। প্রতিবাদ করতে গেলেই আমাদের বিভিন্নভাবে হয়রানি ও নির্যাতন করা হতো। আজ সময় এসেছে প্রতিবাদ করার। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক বিজয় কুমার দেবনাথের কার্যালয়ে গেলে তাকে পাওয় যায়নি। মোবাইলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে জানতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে বলেছি এবং আগামী তিন দিনের সময় চেয়েছি। এর মধ্যে ব্যবস্থা একটা হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ। তা ছাড়া শিক্ষকেরা তো শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত