ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের চাকরি পুনর্বহালের দাবি

চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের চাকরি পুনর্বহালের দাবি

স্বৈরাচার হাসিনার প্রহসন মামলায় বিনা বিচারে ১৬ বছর আটক নিরপরাধ বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) সদস্যদের মুক্তি চেয়ে এবং চাকরিচ্যুত বিজিবি জওয়ানদের চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে মেহেরপুরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন কর্মসূচিতে চাকরিচ্যুত ও ক্ষতিগ্রস্ত বিডিআর সদস্য ছাড়াও তাদের পরিবার-পরিজন ও সন্তানরা অংশ নেন। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে চাকরিচ্যুত ও ক্ষতিগ্রস্ত বিজিবি সদস্য ও তাদের পরিবারের লোকজন চাকরিচ্যুতদের চাকরি ফেরত দেয়ার দাবি জানান। সাবেক বিজিবি সিপাহী মো. গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, মো. শামসুদ্দিন, মোহাম্মদ জুল হোসেন, মো. বেদার উদ্দিন, মো. আলমগীর হোসেন প্রমুখ। এ ছাড়াও মানববন্ধনে মো. রিয়াজ উদ্দিন, মো. হারুন অর রশিদ, মো. আফিরুল ইসলাম, মো. হাবিবুর রহমান, মো. নজরুল ইসলাম, মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. আবুল কালাম আজাদ, মো. দিল্লাল হোসেন, মো. আব্দুল হান্নান, মো. ওয়াহিদুল জামান, মো. আশিকুজ্জামান, মো. আলতাব হোসেন উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২০০৯ সালে পিলখানায় ইতিহাসের বর্বরোচিত নারকীয় হত্যাকাণ্ড দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোড়ন সৃষ্টি করে। তৎকালীন খুনি হাসিনার চক্রান্তে এবং ভারতীয় ‘র’ বাহিনী দ্বারা এই কাণ্ড ঘটিয়ে পিতার হত্যার প্রতিশোধ নিয়েছিল। তার প্রতিদানে পিলখানাসহ সব ইউনিট সমূহে অবৈধ আদালত স্থাপন করে এবং সেই আদালতে ছিল না আমাদের বাক স্বাধীনতা, কোনো আইনজীবী নিয়োগ দেয়াও নিষেধ ছিল। এমনকি যিনি বিচারক তিনিই সব। যা পৃথিবীর কোনো দেশেও হয়তো এমন নিয়ম নেই। আমরা অত্যন্ত অসহায় হয়ে পড়েছি। যার পরিপ্রেক্ষিতে ১৮ হাজার বিজিব সদস্য ও তার পরিবার আজও অসহায় জীবনযাপন করছেন। তারা আরো বলেন, পিলখানার ঘটনার পুনঃতদন্ত করে সঠিক বিচার করতে হবে। সেই সঙ্গে যেসব নিরপরাধ জওয়ানরা চাকরি হারিয়েছে তাদের পুনর্বহাল করতে হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত