১৪ মাসেও মেলেনি অর্থ আত্মসাতের তদন্ত রিপোর্ট

ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ

প্রকাশ : ২৩ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি

বগুড়ার আদমদীঘি মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সভাপতি আবির উদ্দিন খান ও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করণের নামে শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগে লাখ লাখ টাকা বাণিজ্যের অভিযোগ সরজমিনে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়ার ১৪ মাস হলেও রহস্যজনক কারণে অদ্যবদি তদন্ত রিপোর্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে পৌঁছায়নি। ফলে প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষক কর্মচারীরা ৭ বছর যাবত বেতনভাতাদি না পাওয়া এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থা না থাকায় অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা অন্য প্রতিষ্ঠানে যাওয়ায় এখন ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে পৌঁছেছে। অবিলম্বে প্রতিষ্ঠানের নামে জমি ক্রয় করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন শিক্ষক, কর্মচারী ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা। জানাযায়, আদমদীঘি উপজেলা সদরে ২০১৭ সালে মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। সে সময় প্রতিষ্ঠানের নামে জমি ক্রয় ও এমপিওভুক্ত করার নামে অধ্যক্ষ শেখ সাদী এবং প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবির উদ্দিন খান যৌথ ভাবে পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ২৫ জন শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে তাদের তিন মাসের মধ্যে এমপিওভুক্ত করার কথা বলে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষক ও কর্মচারীদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা আদায় করেন। কিন্তু ৭ বছর যাবত প্রতিষ্ঠানের নামে জমি ক্রয় না হওয়ায় এমপিওভুক্ত থেকে বঞ্চিত হয় প্রতিষ্ঠানটি। এতে ক্ষুদ্ব হয়ে শিক্ষকের অভিভবাক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস ছালাম গত ২০২৩ সালের ১৯ জুন প্রতিষ্ঠানের সভাপতি আবির উদ্দীন খান ও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ১৫ লাখ টাকা গ্রহন করে প্রতারণা করার অভিযোগে আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগটি তদন্ত করে তার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশ দেন। সে মোতাবেক তদন্ত কর্মকর্তা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ২০২৩ সালের ১২ সেপ্টেম্বর সভাপতি আবির উদ্দিন, অধ্যক্ষ ও বাদিকে নিয়ে তদন্ত করেন। সেই তদন্তের রিপোর্ট রহস্যজনক কারনে অদ্যবদি দাখিল করেননি। এ ব্যাপারে উপজেলা মাদ্যমিক শিক্ষা অফিসার তৌফিক আজিজের মোবাইল ফোনে যোগাযোগা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এদিকে বাদি ২০২৩ সালের ৭ মে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আইনজীবির মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। এ ছাড়া চলতি সনের ১৬ জুলাই বাদী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস ছালাম সুষ্ট তদন্তের জন্য পুনরায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ দাখিল করলে তা তদন্ত করার জন্য সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) নির্দেশ দেন। এদিকে প্রতিষ্ঠানের নামে জরুরি ভিত্তিতে জমি ক্রয়ের দাবিতে গত বুধবার বেলা ১১টায় আদমদীঘি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সভাপতি আবির উদ্দিন খান ও সাবেক অধ্যক্ষ শেখ সাদী খান প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করণ ও শিক্ষক নিয়োগে টাকা গ্রহণের কথা স্বীকার করে বলেন, জমি পাওয়া যাচ্ছেনা তাই জমি কেনা ক্রয় করা সম্ভব হয়নি। সমস্ত হিসাব সভাপতির কাছে রয়েছে বলে শেখ সাদী বলেন।