আবর্জনায় ভরপুর বলদা খাল পরিষ্কার কার্যক্রম শুরু
প্রকাশ : ২৩ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
শরীফ প্রধান, দাউদকান্দি (কুমিল্লা)
উজানের ঢলে দেশের ফেনি, কুমিল্লা, বি-ভাড়িয়া, লক্ষীপুর ও নোয়াখালীসহ বেশ কটি জেলা বন্যা কবলিত হয়েছে। হুর হুর করে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। এই দুর্যোগ পরিস্থিতির অগ্রীম সতর্কতা হিসেবে কুমিল্লার দাউদকান্দি পৌরসভার লাইফ লাইন খ্যাত একমাত্র পানি নিষ্কাশনের খাল ‘বলদা খাল’ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ‘জানা যায়, গোমতী নদীর সঙ্গে সংযুক্ত প্রায় ৪ কি.মি. দীর্ঘ এই খালটি দিয়ে পণ্য পরিবহন হতো দাউদকান্দি পৌর বাজারে। নৌকা নিয়ে আসতো বাজারে আগত ক্রেতা-বিক্রেতারা। এটার স্বচ্ছ পানি ব্যবহার ও গোসল করতো খাল পাড়ের বাসিন্দারা।
বন্যা বা ভারী বর্ষণ হলেও দ্রুত খালটি দিয়ে পানি নিষ্কাশন হতো। এখনকার চিত্র ভিন্ন। খালতি প্রায় মৃত। দীর্ঘ বছরে দখল আর ময়লা আবর্জনার স্তুপে পরিনত হয়েছে। এ ছাড়াও একটু ভারী বর্ষণ হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। যার ফলে স্থানীয়দের দীর্ঘ বছর ধরে পোহাতে হয়েছে দুর্ভোগ। অনেক বছর পর হলেও খালটি পুনরুদ্ধার ও আবর্জন পরিস্কার কার্যক্রম শুরু করেছে দাউদকান্দি উপজেলা ও দাউদকান্দি পৌরসভা প্রশাসন। গতকাল সকাল থেকে বলদা খালের ময়লা অপসারণ কার্যক্রম শুরু হয়। শ্রমিক ও ভেকু মেশিনের সাহায্যে চলছে এই কার্যক্রম। পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. বিল্লাল হোসেন খন্দকার সুমন বলেন, বলদা খাল দাউদকান্দির পানি নিষ্কাশন এবং পানি প্রবাহের অন্যতম একটি মাধ্যম ছিল। একটা সময় ছিলো আমরা এখানে সাতার কাটতাম। জোয়ার ভাটার পানি আসতো। সময়ের বিবর্তনে দখলে দূষণে এটি বেদখল হয়ে যায়। খালটি প্রায় মৃত। খালটি উদ্ধারের মাধ্যমে একটি দৃষ্টিনন্দন পর্যটন স্থান হিসেবে এলাকাবাসীকে উপহার দেয়া হবে। খালের দুপাশে ওয়াক ওয়ে করার পরিকল্পনা আছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা ও উপজেলা প্রশাসক মো. আরাফাতুল আলম বলেন, এটি জনগুরুত্বপূর্ণ একটি খাল। খালটি অংশবিশেষ বেদখলও হয়ে গেছে। যার ফলে বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা সবাই মিলে খালটি উদ্ধারের লক্ষ্যে ময়লা পরিষ্কার ও দখল উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করেছি। আশা করছি, খালটি তার পূর্বের রুপ ফিরে পাবে। এবং পৌরবাসীর দুর্ভোগ লাগব হবে। খালটি পরিষ্কার কার্যক্রমে উপস্থিত ছিল, উপজেলা সহকারী কমিশনার ও পৌর সভা প্রশাসক দাউদকান্দি মো. জিয়াউর রহমান, পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী এইচএম কামরুল ইসলাম, কাউন্সিলর মো. বিল্লাল হোসেন খন্দকার সুমন, কাউন্সিলর মো. সালাহ উদ্দিন সরকার, কাউন্সিলর মো. দেলোয়ার হোসেন। বলদা খাল দখল ও দূষণ মুক্ত হয়ে পূর্বের রুপে ফিরে পাবে। পানি প্রবাহমান থাকবে। আগের মতো নৌকা চলবে। মানুষ স্বাচ্ছন্দে খালটি ব্যবহার করবে। এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের।