গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে কাপ্তাই হ্রদে পানি বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। ১০৬ দশমিক ৪৪ মিনস সি লেভেল ধারনে অবস্থান করছে বিপদ সীমায়। তবে, বেড়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদন। এদিকে, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে রাঙামাটিতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় পর্যটন ঝুলন্ত সেতুতে এখন কাপ্তাই হ্রদের পানির নীচে। অতিবৃষ্টির কারণে কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে যাওয়ায় নয়নাভিরাম সেতুতে পানি উঠে গেছে। গতকাল শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সেতুটি এখন প্রায় ৩-৪ ইঞ্চি পানির নীচে, সেতুর পাটাতনগুলো ডুবে গেছে। বর্তমানে সেতুটিতে ভ্রমন না করার জন্য পর্যটকদের জন্য এবং সব জনসাধারণের অবগতির জন্য নোটিশ বোর্ড প্রদর্শন করা হয়েছে। তবে আশা করা যাচ্ছে পরবর্তীতে বৃষ্টি যদি না হয় তাহলে ঝুলন্ত সেতু থেকে পানি সরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ বিষয়ে রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সের আলোক বিকাশ চাকমা জানান, প্রতিবছর আগস্ট মাসের শেষ সময়ে সেতুটি পানিতে ডুবে যায়। ডুবে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এটি মানুষের চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ায় যার কারনে আমরা বন্ধ করে দিয়েছি। উল্লেখ্য, রাঙামাটির নয়নাভিরাম বহুরঙা এ ঝুলন্ত সেতুটি ২টি বিচ্ছিন্ন পাহাড়ের মধ্যে গড়ে উঠায় সারাদেশের পর্যটকদের কাছে খুবই আকর্ষণীয়। অন্যদিকে কাপ্তাই হ্রদে পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদন। কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫টি ইউনিট দিয়ে সর্বমোট ২১৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে, যা এই বছরের সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন। তার মধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১ নম্বর ইউনিটে ৪৬ মেগাওয়াট, ২ নম্বর ইউনিটে ৪০ মেগাওয়াট, ৩ নম্বর ইউনিটে ৪৭ মেগাওয়াট, ৪ নম্বর ইউনিটে ৪০ মেগাওয়াট এবং ৫ নম্বর ইউনিটে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে। কাপ্তাই হ্রদে পানির পরিমাণ আরো বৃদ্ধি পেলে বিদ্যুৎ উৎপাদন আরো বাড়বে বলে তিনি জানান।