ভারতের সিকিমে তিস্তা নদীর ওপরে নির্মিত জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের একটি বাঁধ ভেঙে যাওয়ার ফলে নীলফামারীর তিন উপজেলার তিস্তা পাড়ের হাজার হাজার মানুষ বন্যার আশঙ্কা করছেন। সুত্র মতে পশ্চিম বাংলার গজলডোবা বাঁধে পানির চাপ বাড়লেও তিস্তায় বন্যার শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে পাউবো। তিস্তা পাড়ের বাসিন্দাদের আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টায় পানির প্রবাহ ছিল ৫১.৪৭ যা বিপদসীমার ৬৮ সেন্টিমিটার নীচে। সরজমিনে দেখা যায়, তিস্তা নদীতে পানি না থাকলেও বেশ কয়েকটি তীরে পানি বেড়েছে। আর এটাও হয়েছে ঐ পয়েন্ট গুলো থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে, আর সেই কারণে এসব এলাকায় ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। তিস্তাপাড়ে গিয়ে জানা গেছে, গত দুই দিন ধরে দেশের পূর্ব অঞ্চলের কুমিল্লা, ফেনি, নোয়াখালী খাগড়াছড়ি, রাঙামাটিতে বন্যার অবস্থা দেখে তিস্তাপাড়ের হাজারও মানুষ আতঙ্কে দিন পার করছেন। উজানের ঢল যে কোনো সময় নীলফামারীতে প্রবেশ করে বন্যার সৃষ্টি হতে পারে—এমন শঙ্কায় রাত জেগে থাকছে তিস্তাপাড়ের লোকজন। তিস্তাপাড়ের সাইদুল খাঁ, মরিয়ম বিবি, সওর খান আলোকিত বাংলাদেশ কে বলেন, গত দুই দিনে তিস্তার পানি বৃদ্ধির খবর শুনে বুকের কাঁপুনি উঠেছে, অনেকে বলছেন, ফেনি নোয়াখালী কুমিল্লার মতো তিস্তাপাড়েও বন্যা শুরু হবে, তাই গত দুদিন ধরে আতঙ্কে আছি। আরো বেশি চিন্তায় রয়েছি সবজি ধানের খেত গুলো নিয়ে। এ বিষয়ে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড জানান, গতকাল ২৪ আগস্ট সকাল ৯টায় পানির লেভেল ৫১.৫২ ছিল যা বিপৎসীমার ৬৩ সেন্টিমিটার নিচে রয়েছে। ডিমলা পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হক সরকার জানান, তিস্তাপাড়ের মানুষদের আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে, তিস্তার পানি বৃদ্ধি হওয়ার এখন কোনো সম্ভাবনাই নেই। ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ খান আলোকিত বাংলাদেশ কে বলেন, তিস্তার পানি স্বাভাবিক রয়েছে, আর ভাঙন কমবেশি হয়েই থাকে এতে আতঙ্কিত হওয়া যাবে না। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করার প্রস্তুতি রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে জেনেছি পানি বিপৎসীমার অনেক নিচে রয়েছে, গুজবে কান না দিয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছি। গতকাল শনিবার নীলফামারীর ডালিয়া পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী মো, আশফাক উদ-দৌলা আলোকিত বাংলাদেশ কে বলেন, বিকাল ৩টায় পানির প্রবাহ ৫১.৫০ যা বিপদসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার নীচে।