নওগাঁয় হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ আল সাফায়েত শামীম এর পদত্যাগ ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা। গতকাল শনিবার দুপুরে শহরের ঢাকার মোড় কলেজের সামনে ঘন্টাব্যাপী এ কর্মসূচী পালিত হয়। এ সময় শিক্ষক ডা. ওহিদুজ্জামান বলেন, প্রতিষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শামীম যোগদান করার পর থেকে বিভিন্ন অনিয়ম শুরু করেন। নিয়োগ কালীন সময় কলেজ ভবন নির্মাণের নামে প্রত্যেক শিক্ষক, কর্মচারী, কর্মকর্তার কাছ থেকে ৩-৪ লক্ষ টাকা করে মোট দেড় কোটি টাকা আত্মসাৎ করে। আবার তার পরিবারের যে সকল শিক্ষকেরা আছে তাদের বেতন নিয়মিত দেয়া হয়। কিন্তু অনেকে কলেজ না করেও বেতন নিয়মিত পায় আবার কয়েকজনের ৪২-৫৭ মাসের বেতন বকেয়া। তিনি আরো বলেন, ভূয়া পকেট কমিটি দেখিয়ে কলেজ পরিচালনা করছেন তিনি। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের অধ্যক্ষের সালিকা ডাঃ মোছাঃ হাফিজা আক্তার, শ্যালক-ডাঃ মোঃ খোরশেদ আলম, ভায়রা-ডাঃ মোঃ রুহুল আমিন ও পরিচালনা পরিষদের সদস্য কাজী আতিকুর রহমানের সহধর্মীনি-ডাঃ মোছাঃ হেলেনা আক্তার ও তার বোন-ডাঃ মোছাঃ ছাবিনা ইয়াসমিনকে কলেজে চাকরি দিয়ে ইচ্ছামত প্রতিষ্ঠানকে স্বজনপ্রীতি আত্নীয়করনে পরিনত করে।
এছাড়াও অনেক দূর্নীতির অভিযোগ আছে তার নামে। প্রতিবাদ করতে গেলে আওয়ামীলীগ সংগঠনে পদে আছে বলে ভয়-ভীতি দেখায়। ডা. দেলোয়ার হোসেন বলেন, কলেজ প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে আমি এই কলেজের ম্যানেজিং কমিটির দায়িত্বে ছিলাম দীর্ঘদিন। কিন্তু হঠাৎ করেই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শামীম আসার পরে প্রতিষ্ঠানে শুরু হয় নানা রকম দূর্নীতি। শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে তার ইচ্ছামত তার পরিবারের সদস্য থেকে।
কেউ ভয়ে কথা বলার সাহস করে না কারন কথা বললেই চাকরি থেকে বের করে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়। দীর্ঘদিন নিপিড়ীত হয়ে আসছে এই কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। ছাত্রদের ফেল করানোর ভয় দেখায় এরপর নামে বেনামে ছাত্রদের কাছ থেকে ৮-১০ হাজার টাকা জোর করে আদায় করে আত্মসাৎ করে। আমরা অতি শীঘ্রই তার পদত্যাগ চাই, আর কোনো জালিমের হাতে বন্দি থাকতে চাইনা। এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ আল সাফায়েত শামীম কোন মন্তব্য করতে চান না।