নীলফামারীতে একেরপর এক স্কুল-কলেজের প্রিন্সিপাল ও প্রধান শিক্ষকের অপসারণের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী এবং অবিভাবকরা যেভাবে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করছে তা দেখে অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করছে আবার অনেকেই বাহবা দিচ্ছেন। গতকাল সকাল থেকে দুপুর অবধি নীলফামারী সদরের পঞ্চপুকুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রিন্সিপাল আশরাফুজ্জামান জুয়েল, বাবুর হাট কলেজের প্রিন্সিপাল আব্দুল মজিদ, বাবড়িঝাড় উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জহির উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা। বক্তব্য রাখেন নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী রেদওয়ান ইসলাম, সুমনা আক্তার, কাওসার ইসলাম, সাথী আক্তার প্রমুখ। মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা জানান প্রিন্সিপাল ও প্রধান শিক্ষকেরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানকে নানা অনিয়ম-দুর্নীতি আখড়া হিসেবে গড়ে তুলেছেন। একক ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাত করেছে। তাই অবিলম্বে অতি দ্রুত প্রিন্সিপাল এবং প্রধান শিক্ষকদের পদত্যাগের দাবি জানান অন্যথায় আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা?। এদিকে এসব আন্দোলনে হতবাক হচ্ছেন সাধারণ মানুষ, তাদের ভাষ্য ভুলভ্রান্তি যদি করে থাকে তাহলে সমানভাবে স্কুল-কলেজের কমিটির সভাপতিরাও দায়ী।
এবিষয়ে পথচারী আবুল হোসেন আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, অবশ্যই কিছু না কিছু ভুল প্রিন্সিপাল ও প্রধান শিক্ষক করেছে এবং সেটা দীর্ঘদিন ধরে চলার কারণে আজকের এই অবস্থা।
সদরের বাবুরহাট এলাকার ব্যবসায়ী নুরুল আমিন আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, এটা দীর্ঘদিনের চাপা ক্ষোভ বিস্ফোরণ ঘটেছে, এলাকার এমপি আসাদুজ্জামান নূরের কাছের মানুষ হওয়ায় লাগামহীন দুর্নীতি করেছে প্রিন্সিপাল আব্দুল মজিদ তার সাথে কলেজ কমিটিও। এদের বিরুদ্ধে দ্রুত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।