ভারি বর্ষণ ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা বৃষ্টির পানিতে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে জুলাই মাসে কয়েক দফা পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি পায়। আগস্টের মাঝামাঝিতে পানি কিছুটা কমতে শুরু করে। তবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা ও পুনরায় পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যার আশঙ্কা করছেন নদী ঘেঁষা দৌলতপুর উপজেলার চার ইউনিয়নের পদ্মাপাড়ের মানুষ।
এরই মধ্যে চরের নিম্নাঞ্চলে বেশ কিছু আবাদি জমিসহ প্লাবিত হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতিও নিচ্ছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর। এদিকে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে নদী তীরবর্তী মানুষ আশঙ্কা করছেন এবারও বন্যা হতে পারে। বন্যায় উপজেলার চিলমারী, রামকৃষ্ণপুর, মরিচা ও ফিলিপনগর ইউনিয়নের পদ্মা পাড়ের মানুষ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে এরই মধ্যে তলিয়ে গেছে চরের আবাদি ও ফসলের বিস্তীর্ণ মাঠ। দৌলতপুর উপজেলার চিলমারীর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান বলেন, নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে, তবে তা লোকালয়ে এখনো প্রবেশ করেনি।
কিছু নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকেছে তা ছাড়া চরের আবাদি জমির ধান ও কিছু মরিচ ডুবে গেছে। রামকৃষ্ণপুর ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজ মন্ডল জানান, পদ্মা নদীতে নতুন পানি এসেছে তবে এখনো কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি আমাদের এখানে। পাবনা ওয়াটার হাইড্রোলজি বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল করিমের দেয়া তথ্য মতে, পদ্মা নদীর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে গতকাল সোমবার সকালে ২ সেন্টিমিটার পানির উচ্চতা কমে ১১ দশমিক ৯৫ সেন্টিমিটারে প্রবাহিত হচ্ছে যা বিপৎসীমার ১ দশমিক ৮৫ সেন্টিমিটার নিচে। তবে এই পয়েন্টে বিপৎসীমার ধরা হয়েছে ১৩ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার। তিনি আরো বলেন, ভারতে ভারী বৃষ্টিপাত না হলে নদীতে আর পানি বাড়ার সম্ভাবনা নেই। তবে বন্যার বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।’ বন্যার শঙ্কার বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান জানান, বন্যার জন্য আমাদের আগাম প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। বিভিন্ন বিদ্যালয়ের উঁচু ভবনগুলো আশ্রয়কেন্দ্র করা হবে। তবে নদীর পানির উচ্চতা স্বাভাবিক রয়েছে। ভারতের ফারাক্কা বাঁধ খুলে দেওয়ায় বন্যা দেখা দিতে পারে।