ঢাকা ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বিমার টাকা ফেরত পাওয়ার দাবিতে মানববন্ধন

বিমার টাকা ফেরত পাওয়ার দাবিতে মানববন্ধন

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার দিঘলীয়াতে বিমার টাকা ফেরত পাওয়ার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে অসহায় বিমা গ্রাহকরা দুখে দুখে কাঁদছে, মধ্যবয়সী রাহেলা আক্তার (৩৫)। অভাব অনটনের সংসারে একটু একটু করে জমানো টাকা থেকে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের পারিবারিক প্রতিষ্ঠান সানলাইফ বিমা কোম্পানীতে একটি জীবন বিমা করেছিলেন ২০০৯ সালে। প্রতিমাসে কিস্তির মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করেন তিনি। ১০ বছর পর বিমার মেয়াদ শেষ হলেও লভ্যাংশ তো দূরের কথা পাচ্ছেন না আসল টাকাও। শুধু রাহেলা আক্তার নন তার মত সাটুরিয়া উপজেলার হাজার হাজার সহজ সাধারণ মানুষ ওই বিমা কোম্পানীর ফাঁদে পড়ে সঞ্চয়ের অর্থ খুইয়েছেন। যার মধ্যে অধিকাংশ নারী। এলাকাবাসী জানায়, ২০০৮ সালে উপজেলার দিঘলীয়া এলাকার কফিল উদ্দিন (৪৮) অফিস ভাড়া নিয়ে মাঠকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন সানলাইফ বিমা কোম্পানী। এরপর ১০ বছরে দুই থেকে তিনগুন লভ্যাংশ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে গ্রামের দরিদ্র মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিতে শুরু করে অর্থ। গতকাল বিকালে উপজেলার দিঘলীয়া এলাকায় মানববন্ধন করেছেন প্রায় তিনশতাধিক ভুক্তভোগী বিমা গ্রাহকরা। মানববন্ধনে জহিরুল ইসলাম নামে এক বিমা গ্রাহক বলেন, আমার বিমার মেয়াদ শেষ হয়েছে আরো ৩ বছর আগে। অফিসে টাকার জন্য গেলে অফিস বন্ধ পাওয়া যায়। আবার অফিস খোলা থাকলেও বিমা কোম্পানীর লোকজন বিভিন্ন টালবাহানা করতে থাকে।

আরেক ভুক্তভোগী ছানোয়ার হোসেন (৪৫) বলেন, ওই সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিমা কোম্পানীর মাঠকর্মী ছিল। তারাই টাকা লুটপাট করেছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে টাকা ফেরত চান ভুক্তভোগীরা। এ বিষয়ে নিয়ে সানলাইফ বিমা কোম্পানির মাঠকর্মী কফিল উদ্দিন সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ভুক্তভোগী বিমা গ্রাহকদের জন্য বারবার হেড অফিসে গেলেও কোন কাজের অগ্রসর হচ্ছে না। হেড অফিস থেকে বারবার সময় চাওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শান্তা রহমানের সরকারি মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত