মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি দিয়েই চলছে কলেজ

প্রকাশ : ২৭ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মো: সিদ্দিক হোসেন, বীরগঞ্জ (দিনাাজপুর)

দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের আরাজি গোবিন্দপুর মৌজায় শিক্ষানুরাগী শাহিনুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের দান-অনুদান সার্বিক সহায়তায় স্থাপিত হয় চৌধুরীহাট টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজম্যান্ট কলেজ। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এখন পর্যন্ত চৌধুরীহাট টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজম্যান্ট কলেজ পরিচালনায় মুখ্য ভূমিকা পালন করেন শাহীনুর রহমান চৌধুরী শাহীন।

জানা যায়, ১ একর জমির উপর কলেজটি স্থাপিত, জমিদাতা হিসেবে মো. আবু সাঈদ, মাজেদুর রহমান ও নুর ইসলাম। শুরুতে কলেজ উন্নয়নে অনেকে ভূমিকা রাখলেও শাহীন চৌধুরীর ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে পরবর্তীতে কেউ কেউ কেটে পড়েছেন, তারা এখন আর তাকে সাপোর্ট করেন না। শাহীন চৌধুরী একক ক্ষমতাধর হওয়ায় বিধিবহির্ভূত তার স্ত্রী জিন্নাত মহল বেগমকে ওই কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেন, যার ইনডেক্স নম্বর-৩০০৬০৫৮ এবং ইংরেজি ২০২০ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।

প্রতিষ্ঠানের নিম্নমান সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক মো: মতিয়ার রহমান অভিযোগ করেন জিন্নাত মহল বেগমের প্রশিক্ষণ সনদ সঠিক নয়, জাল, ভুয়া। অভিযোগটি সঠিক প্রমাণ হওয়ায় জিন্নাত মহল বেগমের বেতন বন্ধ ও বরখাস্ত হয়ে যান। নীতিমালা অনুযায়ী এসব প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য কারিগরি শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা কর্তৃক প্রতি ২ বছর মেয়াদি ১টি ব্যবস্থাপনা কমিটি অনুমোদন নিয়ে ওই অনুমোদিত কমিটির নির্দেশনায় পরিচালিত হয়। অথচ এ নিয়মকে অনুসরণ করছে না চৌধুরীহাট টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অজয় রায়ের সাথে কথা হলে তিনি জানান ২০১৯ সালে ১৩ সদস্যের একটি ছক করা ফরমেটে কমিটির সভাপতি এবং ছকে অন্যান্য সদস্যের নাম থাকলেও ৬ নং ক্রমিকে অভিভাবক সদস্য মহিলা এবং ৯ নং কমিটি শিক্ষক প্রতিনিধি মহিলার নাম ছাড়াই ২ বছরের জন্য কমিটি অনুমোদন প্রাপ্ত হয়। যাহার দপ্তর স্মারক নম্বর-৫৭.১৭.০০০০.৪০২.০৫.০৫৬ ১৯.৭২৭/ ১২৯৮ তারিখ: ১৫/১২/২০১৯ ইং সাল। পরবর্তীতে কমিটি অনুমোদনের আবেদন করলেও এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি অর্থাৎ বিগত ৪ বছর থেকে অনুমোদন বিহীন চলছে চৌধুরীহাট টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ।

প্রতি মাসে এ কলেজের শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন ২ লাখ ৫০ হাজার টাকার বেশি সরকারকে বহন করতে হয়। এ ব্যাপারে বীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সভাপতি চৌধুরীহাট টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন বিষয়টি খতিয়ে দেখব।