পদ্মার ভাঙনে হুমকিতে বসতভিটা ও প্রাথমিক বিদ্যালয়

প্রকাশ : ২৮ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  বিজয় ঘোষ, রাজশাহী ব্যুরো

রাজশাহীর চারঘাটে ভারি বর্ষণে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে বাঁধ ভেঙে তলিয়ে যেতে পারে দুটি প্রাইমারি স্কুলসহ কয়েকটি গ্রাম। কংক্রিট নিরাপত্তা বাঁধ না থাকায় হুমকিতে কয়েক হাজার বসতভিটাসহ টাঙ্গন সরকারি প্রাইমারি স্কুল ও পিরোজপুর সরকারি প্রাইমারি স্কুল। বাঁধ না থাকায় বছরের পর বছর ভাঙনের ফলে হুমকির মধ্যে পড়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বসতভিটা। এমন পরিস্থিতিতে যে কোনো সময় তলিয়ে যেতে পারে স্কুল ভবনগুলো ও বসতভিটা। উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, চারঘাট উপজেলায় প্রায় ২২ কিলোমিটার পদ্মা নদী তীরবর্তী এলাকা রয়েছে। নদীর তীরবর্তী এলাকাগুলোর মধ্যে ইউসুফপুর, মোক্তারপুর, টাঙ্গন, কুঠিপাড়া, থানাপাড়া, গোপালপুর, চন্দনশহর, পিরোজপুর ও রাওথা অন্যতম। এরমধ্যে পুলিশ একাডেমী সংলগ্ন এলাকা, মোক্তারপুর ক্যাডেট কলেজ সংলগ্ন এলাকা, ইউসুফপুর কলেজ সংলগ্ন এলাকা ও টাঙ্গনের কিছু এলাকায় বাঁধ রয়েছে। তবে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইউসুফপুর ইউনিয়েনের টাঙ্গন মধ্য পাড়া, পৌরসভার মোক্তারপুর, গোপালপুর, পিরোজপুর ও চারঘাট ইউনিয়নের রাওথার কিছু অঞ্চলের মাটি দিয়ে দেয়া বাঁধের অবস্থা খুবই বিপজ্জনক। স্কুল ভবন রক্ষার্থে স্থানীয় প্রশাসনকে অবগত করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় প্রশাসন আশ্বাস দিলেও এখনও কোন কাজ শুরু হয়নি বলে জানিয়েছেন টাঙ্গন সরকারী প্রাইমারী স্কুলের প্রধান শিক্ষক নাখিসা বানু। জেলা শিক্ষা অফিস প্রতিনিধিসহ আমরা ইতিমধ্যে স্কুলসংলগ্ন বাঁধ পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে লিখিত প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, টাঙ্গন মধ্যপাড়ার নদী তীরবর্তী এলাকায় ২০০৫ সালে নির্মিত বাঁধ সংস্কারের নামে গত এপ্রিল-২৪ এ বাঁধের ব্লকগুলো তুলে ফেলা হয়। হঠাৎ নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে ভাঙ্গন প্রতিরোধে এলোপাতাড়ি ব্লকগুলো নদীর তীরে জুলাই-২৪ মাসের শেষের দিকে ব্লক ভাঙন প্রতিরোধে স্বল্প পরিমাণে জিও ব্যাগ অত্র এলাকার নদীতীরবর্তী এলাকায় ফেলে দিয়ে যায় ঠিকাদাররা বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা রাসেল সরকার। আকস্মিক পানি বৃদ্ধি পেলে যে কোনো মুহূর্তে স্কুল ও তীর সংলগ্ন কয়েক’ হাজার ঘরবাড়ি নদীতে তলিয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন নদীতীরে বসবাসকারী রাকিব। পাউবি, রাজশাহীর নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুর রহমান অঙ্কুর বলেন, ৪শ’ মিটার নিরাপত্তা বাঁধ পুনর্বাসন প্রকল্পে পুরাতন ব্লক তোলা হয়েছিল। আকষ্মিকভাবে পানি বেড়ে যাওয়ায় আবারো পুরোনো ব্লকসহ জিওব্যাগ ফেলে প্রাথমিকভাবে বন্যার পানি রোধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।