দুই দফা বন্ধ থাকার ৫ দিন পর সাগরিকা ট্রেন চলাচল শুরু
প্রকাশ : ২৮ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
শওকত আলী, চাঁদপুর
চাঁদপুরে ২ দফা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকার গত ৫ দিন পর এ রুটের রেলপথে চট্রগ্রাম-চাঁদপুরের মধ্যে চলাচলকারী ট্রেন ২টির মধ্যে ১টি ট্রেন সাগরিকা এক্রপ্রেস ট্রেনটি গতকাল মঙ্গলবার হতে চলাচল শুরু করেছে। চট্রগ্রাম থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়তের জন্য কয়েকটি লাইন পূর্বে ব্যবহার হলেও এখন মাত্র একটি লাইন সচল করে ট্রেন চলাচলের উপযুক্ত করেছেন বলে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। এ ছাড়া আন্তঃনগর মেঘনা এক্রপ্রেস ট্রেন চাঁদপুর-চট্রগ্রামের মধ্যে চলাচলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেননি রেলওয়ে বিভাগ। গত সোমবার রাতে এক তার বার্তার মাধ্যমে চট্রগ্রাম বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও/চট্রপ্রাম) মো. আনিছুর রহমান চাঁদপুর স্টেশন মাস্টারের কাছে এ নির্দেশ প্রদান পূর্বক এ সাগরিকা ট্রেন চলাচলের বিষয়টি আবগত করেছেন। এ পথের আন্তঃনগর মেঘনা এক্রপ্রেস ট্রেন চলাচলের কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি রেলওয়ে বিভাগ। এ বিষয়টি এ প্রতিনিধিকে নিশ্চিত করেন, চাঁদপুর স্টেশনের দায়িত্বে থাকা (ভারপ্রাপ্ত) স্টেশন মাস্টার শোয়াইবুল শিকদার। তিনি আরো জানান, গতকাল সকাল ৮টায় যাত্রীবাহি ট্রেন সাগরিকা এক্রপ্রেস চট্রগ্রাম থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশে ছেড়ে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে চাঁদপুর স্টেশনে এসে পৌঁছে। এ ট্রেনটি পুনরায় যাত্রী নিয়ে চাঁদপুর থেকে দুপুর ২টা ২০ মিনিটে চট্রগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। তবে যাত্রী সংখ্যা বিগত সময়ের তুলনায় অনেক কম ছিল। জানা গেছে, চাঁদপুর-চট্রগ্রামের মধ্যে বেসরকারি মাধ্যমে দিনের বেলা এক মাত্র চলাচল করছে সাগরিকা ট্রেনটি। অন্যদিকে এ পথের শত-শত যাত্রী ১১টি এ পথের ট্রেনের মধ্যে ২টি ট্রেনের উপর দীর্ঘ বছর নির্ভরশীল ছিল। হটাৎ করে এ পথের লাকসাম চট্রগ্রামের মধ্যকার ফাজিলপুর নামক স্থানের রেলপথের রেললাইনে পানি উঠে পড়ায় ট্রেন চলাচল রেলওয়ে বিভাগ বন্ধ করে দেয়। এখন চাঁদপুর থেকে চট্রগ্রাম ও চট্রগ্রাম থেকে চাঁদপুরের এ পথে নিত্যদিন চলাচলকারী যাত্রীরা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে ও মারাত্বক উৎকণ্ঠার মধ্যে থাকতে হয়েছে। এদিকে চট্রগ্রাম রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, গত ২২ আগস্ট হঠাৎ প্রবল বৃষ্টিপাত বন্যার পানি ব্যাপক আকারে বেড়ে যাওয়ায় লাকসাম থেকে চট্রগ্রামে যাতায়তের রেলপথের বিভিন্ন স্থানের রেললাইনে উপর পানি উঠে যায়। রেলপথ পানিতে তলিয়ে যাওয়ার ফলে ট্রেন চলাচলে মারাত্বক বিঘ্ন দেখা দেন। যার কারণে গত ৫ দিন চাঁদপুর-চট্রগ্রামসহ এ পথের সঙ্গে দেশের সব স্থানের সকল ট্রেন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেন রেলওয়ে চটগ্রাম বিভাগীয় কর্তৃপক্ষ। এদিকে প্রতিদিনের ন্যায় আন্তঃনগর মেঘনা এক্রপ্রেস ট্রেন চাঁদপুর-চট্রগ্রামের মধ্যে চলাচল করলেও চট্রগ্রাম-লাকসাম রেলপথের বিভিন্ন স্থানে রেলপথ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় গত ২২ আগস্ট বিকেল ৬টায় চট্রগ্রাম থেকে চাঁদপুরের উদ্দের্শে আন্তঃনগর মেঘনা এক্রপ্রেস ট্রেন ছেড়ে আসেনি। সে থেকে এ পথে এ ট্রেনটি চলাচল বন্ধ থাকলেও রেলওয়ে বিভাগ এখন পর্যন্ত আন্তঃনগর মেঘনা এক্রপ্রেস ট্রেন চাঁদপুর-চট্রগ্রামের মধ্যে চলাচলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেননি বলে চট্রগ্রাম বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও/চট্রপ্রাম) মো. আনিছুর রহমান জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, চাঁদপুর-চট্রগ্রাম ও চট্রগ্রাম-চাঁদপুরের মধ্যে এর পূর্বেও গত ১৮ জুন থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় র্দীঘ দিন ট্রেনে দুর্বৃত্তের হামলা ও নাশকতার আশংকায় এ পথের ২টি ট্রেন বন্ধ রেখেছিল রেলওয়ে বিভাগ।