গাছ লাগিয়ে পরিবেশ রক্ষা করতে চান বগুড়ার মাহমুদা আকতার। মাহমুদা আকতার বগুড়া সদরের চেলোপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি একজন উদ্যোক্তাও বটে। সুজলা-সুফলা, শস্য-শ্যামলা অফুরন্ত সৌন্দর্যের এ মধুর নিকুঞ্জকে শীতল ও বাসযোগ্য করে রাখার ক্ষেত্রে গাছের অবদান অনস্বীকার্য। তিনি বাড়ির চার পাশে পতিত জমিতে ফলজ, বনজ, ঔষুধি গাছ লাগাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। মাছ লাগানোর প্রতি তার ঝোঁক অনেক বেশি। কারণ মানুষের সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার জন্য যেসব মৌলিক চাহিদা রয়েছে তার অধিকাংশই পূরণ করে গাছ। মানব জীবনে গাছের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। ডাঙায় তোলা মাছের যেমন প্রাণহীন ছটফট অবস্থা হয়, সে তুলনায় বৃক্ষহীন মানুষের অবস্থা হবে আরো ভয়াবহ। সবুজ বৃক্ষ আমাদের অক্সিজেন দিয়ে প্রাণরক্ষা করে। পৃথিবীর পরিবেশকে সুস্থ ও শীতল রাখে। শুধু তাই নয়, বৃক্ষ আমাদের ফুল দেয়, ফল দেয়, শীতল ছায়া দেয়। গৃহ নির্মাণ, আসবাবপত্র, সবকিছুর জন্য আমরা প্রকৃতির অকৃপণ দান বৃক্ষের ওপরই নির্ভরশীল। তাই সবুজ বনভূমিকে বলা হয় পৃথিবীর ফুসফুস। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা, এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সবুজ ও সুস্থ পৃথিবী তৈরি করা। বৃক্ষ শুধু সৌন্দর্য বাড়ায় না, এটি আমাদের জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রকৃতি ও পরিবেশ থেকে নানা উপাদান গ্রহণ করেই আমরা বেঁচে থাকি। কাজেই প্রকৃতি ও পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হলে আমাদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে। মানবজাতির কল্যাণের স্বার্থে আমাদের প্রকৃতি ও পরিবেশের সাথে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। বর্তমানে যেভাবে আমরা গাছ কেটে নিধন করছি সেটা অব্যাহত থাকলে বৈশ্বিক উঞ্চতা বৃদ্ধি পেতে থাকবে আর এর ক্ষতি থেকে আমরা বাঁচতে পারবো না। জলবায়ু পরিবর্তন এবং বৈশ্বিক উষ্ণতা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আমাদের সবাইকে গাছ কাটা থেকে বিরত থেকে বগুড়ার মাহমুদার মতো বেশি বেশি গাছ লাগাতে হবে।