ঐতিহ্যবাহী শেরপুর প্রেসক্লাবের নবগঠিত কমিটিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নগ্ন হস্তক্ষেপ করে বাতিল ঘোষণা করেছে জেলা বিএনপি। গত সোমবার রাতে জেলা বিএনপির প্যাডে জেলা বিএনপির সভাপতি মো. মাহমুদুল হক রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক মো. হযরত আলী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এদিকে এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে সাংবাদিকদের পেশাজীবী সংগঠনকে বিলুপ্ত করায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এ ঘটনাকে নজিরবিহীন বলছেন গণমাধ্যমকর্মী ও সচেতন মহল। জানা যায়, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ২২ আগস্ট শেরপুর প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন করা হয়। এনটিভির কাকন রেজাকে সভাপতি, দেশ টিভির রফিক মজিদকে কার্যকরী সভাপতি ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের মাসুদ হাসান বাদলকে সাধারণ সম্পাদক করে ২২ সদস্যবিশিষ্ট এ কমিটি গঠন করা হয়। জেলার মাঠ পর্যায়ে কর্মরত সাংবাদিকদের নিয়ে এ কমিটি গঠন করায় সেটি সর্বমহলে ব্যাপক প্রশংসা কুড়ায়। তবে গত সোমবার রাতে জেলা বিএনপির প্যাডে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠান জেলা বিএনপির সভাপতি মো. মাহমুদুল হক রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক মো. হযরত আলী। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শেরপুর প্রেসক্লাবের কমিটির বিষয়ে জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ কেউ অবগত নয়। তাই ওই কমিটি বাতিল ঘোষণা করা হলো। বিএনপির ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তির পর সাংবাদিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। এ ব্যাপারে প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত সভাপতি-সম্পাদক বলেন, প্রেসক্লাব একটি অরাজনৈতিক ও সার্বজনীন পেশাজীবী সংগঠন। আমরা সকল রাজনৈতিক দলকে শ্রদ্ধা করি। তবে এ ধরনের অনভিপ্রেত ঘটনা সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করার শামিল। তবে প্রেসক্লাবের কমিটি বিলুপ্তের বিষয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হযরত আলী বলেন, টাইপিং মিসটেকের কারণে কমিটি বিলুপ্ত লেখা হয়েছে।