বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, চাকরি, তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডসহ সকল ক্ষেত্রে পাহাড়ের বাঙালিদের সঙ্গে বৈষম্য দূর করে জনসংখ্যা অনুপাতে বণ্টন করার দাবিতে ও সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি মুক্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম গঠনের দাবিতে এবং রাষ্ট্র বিরোধী দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ পিসিসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যােগে মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে পৌরসভা চত্বর থেকে হাজার হাজার ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে জিমনেশিয়াম মাঠে গিয়ে মহাসমাবেশে মিলিত হয়। মহাসমাবেশে পিসিসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সি. সহ-সভাপতি মো. আসিফ ইকবাল ও সাধারণ সম্পাদক মো. হাবীব আজম এর পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পিসিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান কাজী মজিবর রহমান, প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন পিসিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব ও বাঘাইছড়ি পৌরসভার সাবেক মেয়র আলমগীর কবির, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পিসিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি এডভোকেট পারভেজ তালুকদারসহ প্রমুখ। সমাবেশের শুরুতেই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত হওয়া সব শহীদদের মাগফিরাত কামনায় ও বন্যার্তদের জান মাল রক্ষায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাজী মজিবর রহমান বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রায় সব উপজাতি সম্প্রদায় প্রতিবেশী ভারত, মিয়ানমার ও চীন থেকে অষ্টদশ (১৭২৭-১৭৩০) শতকের দিকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে বসবাস শুরু করে; যা স্মরণাতীত কাল পূর্বে ঘটেনি। তারা মাত্র কয়েকশ বছর পূর্বে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী অভিবাসী। অথচ আদিবাসী হতে হলে ভূমি সন্তান হতে হয় এবং হাজার বছরের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ধারণ করতে হয়। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, মায়ানমার ও চীন হতে পার্বত্য চট্টগ্রামে অভিবাসী হিসেবে এসে বসতিস্থাপন করলে ভূমি সন্তান হওয়া যায় না। মূলত আদিবাসী স্বীকৃতির নামে আলাদা রাষ্ট্র ‘জুম্মলেন্ড’ প্রতিষ্ঠার স্বপ্নে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত কতিপয় উপজাতীয় ও দেশীয় কুচক্রী মহল। এই সব কুচক্রী মহলের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষ সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের প্রতিহত করতে হবে।