ভেজাল সার ও কীটনাশকে বাজার সয়লাব

প্রতারিত কৃষক

প্রকাশ : ২৯ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলমগীর সিদ্দিকী, শ্যামনগর (সাতক্ষীরা)

শ্যামনগরের বিভিন্ন হাট-বাজারের দোকান গুলোতে ভেজাল সার ও কীটনাশক বিক্রি হচ্ছে অবাধে। দ্রুত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে এ ভেজাল রোধে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে চলতি মৌসুমের ইরি-বোরো আবাদের কাঙ্খিত ফসল উৎপাদনে আশঙ্কা দেখা দেবে ও ক্ষতিগ্রস্ত হবে সাধারণ কৃষক। জানা যায়, বিভিন্ন দোকানগুলোতে নিম্নমানের ভেজাল সার এবং নামি ও বেনামি কোম্পানির কীটনাশক বিক্রি করছে। ধান খেতের আগাছা, ক্ষতিকর পোকাণ্ডমাকড় দমনে, বাড়তি ফলনের আশায় কম দাম ও নজরকাড়া মোড়ক দেখে এসব কীটনাশক কিনে প্রতারিত হচ্ছেন প্রান্তিক কৃষকেরা।

শুধু তাই নয়, সারের নতুন বস্তা খুললে দেখা মিলে সারে মিশ্রিত পাথরের গুড়ো ও নড়ি বালু। এদিকে কৃষি বিভাগ বলছে, আমরা নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছি। উপজেলার রমজাননগর গ্রামের আজাদ গাজী নামে এক কৃষক জানান, ১জুলাই শ্যামনগর গোডাউন মোড় এলাকার এক সারের দোকান থেকে থেকে একবস্তা টিএসপি সার ক্রয় করি। পরে জমিতে সার প্রয়োগ করার আগে বস্তা খুলে দেখি সারের সঙ্গে বেশির ভাগই মিশ্রিত রয়েছে নুড়ি বালু ও পাথরের গুড়োর মতো দানা। পরে দ্রুত সার দোকানিকে অবগত করলে কিছু করার নাই বলে জানান তিনি। এ ব্যাপারে সার দোকানী বলেন, কোম্পানিকে এ সার ফেরত দিব, যদি কোম্পানি এ সার পরিবর্তন করে দেয় তাহলে সার পাবেন, নয়তো আমার কিছু করার নাই। কাশিমাড়ীর আরেক কৃষক খালেক জানান, ইরি খেতে আগাছা ও পোকা মাকড় দমনে সিনজেনটা নামক ঔষধ দিয়েছি কোনো কাজ হয় নি, ওল্টো ধান গাছের পাতা সাদা হয়ে গেছে। ভুরুলিয়া গ্রামের কৃষক সুবোল জানান, মাত্রা অতিরিক্ত সার প্রয়োগ করেও ফসলের উন্নতি হচ্ছে না, টিএসপি সারটা ছিল চাকা বান্ধা, আর আমি দোকানীদের থেকে প্রায় বাকিবাবদ সার ক্রয় করি, দোকানী যে পরামর্শ দেন সে পরামর্শে শুনে প্রতারণায় শিকার হচ্ছি। এদিকে একাধিক সার ব্যবসায়ী জানান, কীটনাশক কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিরা বলে ওষুধে কাজ না হলে টাকা ফেরত। এ বিশ্বাস করে আমরা কৃষকদের কাছে ঔষুধ বিক্রি করি। শ্যামনগর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা নাজমুল হুদা বলেন, আমরা বাজারের সার সংগ্রহ করে পরিক্ষাগারে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।