দর্শনায় ৬৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশ : ২৯ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

দীর্ঘ ১৭ বছর ক্ষমতার মসনদে থাকা আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য আলী আজগার টগরের ভাই দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু এবং কেরু অ্যান্ড কোম্পানির শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদের ছেলে সৌমিক হাসান রুপমসহ ৬৯ জনের বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় মামলা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে দর্শনা পৌর এলাকার পরানপুর মসজিদপাড়ার জহির উদ্দীনের ছেলে রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে দর্শনা থানায় ৬৯ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত ৮০-৯০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় দর্শনা পরানপুর মসজিদপাড়ায় বাদীর বাসভবনের সামনে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা হয়। ওই দিন সন্ধ্যা ৭টায় তার নিজ বাড়ীতে আসামীরা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে কয়েক রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে এবং বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় বাড়ীতে থাকা নগদ ৭০ হাজার টাকা এবং তার স্ত্রীর ব্যবহার করা দুই ভরি স্বর্ণের গলার চেইন ও হাতের বালা ছিনিয়ে নিয়ে যায় ও তার স্ত্রীকে মারধর করে। সে সময় তার স্ত্রী জীবন রক্ষার্থে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশী অস্ত্র রামদা, চাপাতি ও দিয়ে তাকে ধাওয়া করে। কিছু দূর পালিয়ে যাওয়া অবস্থায় সে পড়ে যায়। এরপর সন্ত্রাসীরা তাকে ধরে হত্যার উদ্দেশ্য আলী মুনছুর বাবুর বাসভবনে নিয়ে অমানুষিকভাবে রাতভর নির্যাতন করে। নির্যাতনের কারণে তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। এরপর তার জ্ঞান ফেরার পর তিনি দেখতে পান তার ডান পা ভেঙে গেছে। আলী মুনছুর বাবুর বাসভবনে তার পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করতে গেলে পা ভাঙা অবস্থায় তারা তাকে ২০২২ সালের ৮ ডিসেম্বর সকালে দর্শনা থানায় পুলিশের কাছে দেয়। পুলিশ তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে চুয়াডাঙ্গা আদালতে সোপর্দ করে। এ বিষয়ে দর্শনা থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত শফিউল ইসলাম বলেন, দর্শনা থানায় একটি এজাহার দাখিল হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।