গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ‘পঁচার বাজার-হাট’ এর সরকারি খাস জমি বেহাত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রায় কোটি টাকা মূল্যের এই জমি উদ্ধারে ইউএনও বরাবরে লিখিত অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন ইউপি সদস্য সাইদার রহমান। এ বিষয়ে গত সোমবার দুপুরের দিকে উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের পঁচার বাজার-হাট এলাকায় গিয়ে জানা গেছে- অবৈধভাবে সরকারি জমি ভোগদখলের ঘটনা। এদিকে, লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়- পঁচার বাজার হাটের ৭৮ শতক সরকারি খাস জমি রয়েছে। এরমধ্যে তফসিল অনুযায়ী ১ নম্বর খাস খতিয়ানভূক্ত সাদুল্লাপুর-ঠুটিয়াপুকুর রাস্তার পশ্চিম পাশে ৩০৭০ নম্বর দাগে ৭০ শতক ও পূর্বপাশে ৩২৩৯ নম্বর দাগে ৮ শতক। যার ৭০ শতক জমিটি জনস্বার্থে ব্যবহার হলেও বাকি ৮ শতক জমি অবৈধভাবে স্থাপনা গড়ে তুলে ভোগদখল করে আসছেন স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি। পেশীশক্তি খাটিয়ে হাটের সরকারি খাস জমি দীর্ঘদিন ধরে দখলে রাখছেন বলে জানা গেছে। যার মূল্য প্রায় কোটি টাকার উপরে হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সরকারি খাস জমিতে কোনো ব্যক্তি স্থাপনা নির্মাণ করলে সেটি দণ্ডনীয় অপরাধে জেল-জরিমানার বিধান থাকলেও তা প্রয়োগ হচ্ছে না বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। অবৈধভাবে দখলদারীর হাত থেকে ওই ৮ শতক জমি উদ্ধারের জন্য এর আগে একাধিকবার অভিযোগ করেও কোনো সুফল পাওয়া যায়নি। গত ১৫ আগস্ট আবারো ইউএনওসহ একাধিক দপ্তরে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। তা এখনো তদন্ত হয়নি। এই জমিটি উদ্ধার দাবি করছি। ভাতগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজার রহমান বলেন, পঁচার বাজার হাটের ৭৮ শতক জমির মধ্যে ৮ শতক জমি বেহাত রয়েছে বলে শুনেছি। বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের খতিয়ে দেখা দরকার। অবৈধভাবে হাটের জমি দখলের বিষয়টি ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে পত্র দিয়ে জানোনো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভাতগ্রাম ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা আব্দুল আউয়াল।