কুতুবদিয়া-মগনামা নৌপথ

অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধসহ ছয় দফা দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশ : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার

কক্সবাজারের কুতুবদিয়া-মগনামা নৌপথে অনিয়ম, হয়রানি, দুর্নীতি, নৈরাজ্য ও লুটপাট বন্ধেসহ ৬ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে কুতুবদিয়া ছাত্র-জনতা। গতকাল রোববার দুপুর দেড়টায় শহরের ঘুনগাছ তলায় কুতুবদিয়ার কয়েকশ’ শতাধিক ছাত্র-জনতা ব্যানার, ফেস্টুন ও বিভিন্ন প্লেকার্ড হাতে এ মানববন্ধন করেন। এ সময় ওই এলাকায় ঘণ্টা দেড়েক যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।

পরে আন্দোলনকারীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করে। কুতুবদিয়া উপজেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৬ দফা দাবিগুলো হলো- ঘাটে টিকিট সিস্টেম চালু করতে হবে এবং ঐ এক টিকিটের মাধ্যমে কুতুবদিয়া মগনামা পারাপারের ব্যবস্থা করতে হবে। জেটি ভাড়ার নামে দুইদিকে অতিরিক্ত ৫+৫ টাকা বাদ দিতে হবে। তাছাড়াও ঘাটের সব কর্মকাণ্ড সার্বক্ষণিকভাবে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতাভুক্ত রাখতে হবে। প্রত্যেক বোট চালকদের ছবি সংবলিত পরিচয়পত্র পরিধান এবং বোটের নাম্বার স্থাপন করতে হবে।

কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনী কর্তৃক তদারকি করতে হবে। ঘাট ইজারাদারদের ছবিসহ কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত পণ্যসামগ্রীর মূল্য তালিকা প্রকাশ করতে হবে ও মালামাল বহনকারী যাত্রীদের রশিদ প্রদান করতে হবে মূল্য তালিকা সকল জেটিতে নির্দিষ্ট স্থানে জনগণের দৃষ্টিগোচর হয় মতো জায়গায় টাঙিয়ে রাখতে হবে। গাম বোট ভাড়া জনপ্রতি ২৫ টাকা এবং স্পিডবোট ভাড়া ৭০ টাকা করতে হবে ও প্রতি ৩০ মিনিট পরপর বোট অবশ্যই ছাড়তে হবে। জ্বালানি দ্রব্যের হ্রাস-বৃদ্ধির সাথে সমন্বয় করতে হবে। গাম বোটে ৪০ জন ও স্পিডবোটে ধারণক্ষমতার বেশি যাত্রী নেয়া যাবে না। প্রতিদিন সকাল ৬:৩০টা থেকে শুরু করে রাত ১০টা পর্যন্ত সার্বক্ষণিক বোট চালু রাখতে হবে প্রতিটি বোটে সবার জন্য লাইফ জ্যাকেটসহ অন্যান্য নিরাপত্তা সামগ্রী রাখতে হবে।

রিজার্ভ ভাড়া : ছোট স্পিডবোট ৫০০ টাকা বড় স্পিডবোট ৭০০ টাকা ডেনিস বোট ৯০০ টাকা একজন যাত্রী সর্বোচ্চ ২০ কেজি পণ্য কোন ধরনের ভাড়া ছাড়া বহন করতে পারবে। ফিটনেসবিহীন বোট নৌপথ থেকে তুলে ফেলতে হবে এবং ঘাটের ছাত্রী ছাউনি ও গণশৌচাগার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।

মালামাল রাখার নির্দিষ্ট প্লাটফর্ম ছাড়া অন্য কোথাও মালামাল রাখা যাবে না। রাতের বেলা ঘাটে পর্যাপ্ত লাইটের ব্যবস্থা করতে হবে। রোগী এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখতে হবে। ব্যবসায়ী, প্রবাসী এবং বরযাত্রীদের অতিরিক্ত ভাড়ার নামে হয়রানি বন্ধ করতে হবে। ঘাটের সাথে সংশ্লিষ্ট লোকদের আচরণ মার্জিত করতে হবে। আগামী বছর ইজারা প্রথা বন্ধের সকল ব্যবস্থা কতৃপক্ষকে (প্রশাসনকে) গ্রহণ করতে হবে। মানববন্ধনে ছাত্রদের মধ্যে আসিফ, শাকিল, জুয়েল, তারেকসহ উপজেলার কয়েক শতাধিক ছাত্র-জনতা অংশ নেয়।