বরগুনার তালতলীতে ছাত্রদল-যুবদলের নেতাদের বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে তালতলী প্রেসক্লাবের হলরুমে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বক্তারা বলেন, গত রোববার কিছু অনলাইন পত্রিকায় কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আকন মো. মামুন, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক নাসির উদ্দীন ও উপজেলা যুবদলের সদস্য রাজু মৃধাকে জড়িয়ে ‘তালতলী ছাত্রদল-যুবদল নেতাদের বিরুদ্ধে লুট পাটের অভিযোগ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।
প্রকাশিত সংবাদে উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা মো. সাইফুল ইসলাম সাগর জোমাদ্দারের পুরাতন লোহা ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালামাল লুট করার অভিযোগ তোলা হয়। প্রকাশিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আমরা এই নিউজের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
প্রকৃত পক্ষে ঘটনা হচ্ছে যে, ওই যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম সাগর তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে দীর্ঘদিন ধরে লোহা, তামা চুরি করে আলাউদ্দিন আলাল নামে এক যুবলীগ নেতার পুরাতন লোহা ক্রয়-বিক্রয়ের দোকানে বিক্রি করে আসছে।
পরে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পরে মঙ্গলবার ০৬ আগস্ট আলাউদ্দিন আলালের দোকানে পুরাতন ক্ষোভের কারণে একদল বিক্ষুদ্ধ জনতা উত্তেজিত হয়ে হামলা চালায়। যা উপজেলা প্রশাসন অবগত আছেন। আমরা দলের নির্দেশক্রমে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মন্দির ও গির্জায় পাহারা দিয়ে ছিলাম। তারই ধারাবাহিকতায় যুবলীগ নেতা আলাউদ্দিন আলালের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাতে আর ক্ষতি না হয় সে জন্য তার মালামাল ট্রাকে ভরে নিয়ে যেতে সহায়তা করি।
যা পরে তিনি বিক্রি করে দেন। কিন্তু ঘটনার ২৫ দিন পরে যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম সাগর আমাদের দলের ভাবমূর্তি নষ্ট ও আমাদের সম্মানহানির উদ্দেশ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের প্ররোচনায় প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে নৌবাহিনী ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দেয়া হয়। যা মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এসব অপপ্রচারের তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আকন মো. মামুন ও উপজেলা যুবদলের সদস্য রাজু মৃধা।