সিরাজগঞ্জে পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) খাদিজা পারভীন রুমির বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পুলিশ সুপার ও প্রতিষ্ঠানের সভাপতি বরাবর দাখিল করেছেন শিক্ষক কর্মচারীরা। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এরই মধ্যে এ কমিটি তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছেন। লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালে তৎকালীন পুলিশ সুপার মোশারফ হোসেনের উদ্যোগে ওই প্রতিষ্ঠান করা হয়। ২০১২ সালে কলেজের অধ্যক্ষ হামিদুল হক মুন্সি চাকুরি ছেড়ে দেন এবং কলেজের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক ডিঙিয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের কণিষ্ঠ প্রভাষক রুমিকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ করা হয়। এরপর থেকে তিনি নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ২০১৯ সালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্তের নামে প্রভাষক ও কর্মচারীদের কাছ ২১ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন এবং একই বছর শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নানা অজুহাতে হাজার হাজার টাকা নিয়েছেন। এ ছাড়া তিনি কলেজের নতুন ক্যাম্পাসে মাটি ভরাটে টেন্ডার না দিয়ে নামমাত্র কমিটি দিয়ে প্রায় ২০ লাখ টাকার ভাউচার করে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেন এবং ভবন তৈরিতে নিজস্ব ঠিকাদারের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে ২৮ লাখ টাকার ভাউচার করেন। তার ২৭টি অনিয়ম ঘটনা লিপিবদ্ধ করে একটি লিখিত অভিযোগ ১৫ আগস্ট সেসময় পুলিশ সুপার ও কলেজের সভাপতি আরিফুর রহমান মণ্ডল বরাবর দাখিল করা হয়। এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জিয়াউর রহমানকে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। গত ১২ আগস্ট সকালে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর বিকালেই ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দিতে বাধ্য হন ভারপ্রাপ্ত ওই অধ্যক্ষ। সাবেক অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) খাদিজা পারভীন রুমী এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে পরে কথা বলবেন বলে মুঠোফোন রেখে দেন।