প্রাকৃতিক বৃষ্টিপাতের ওপর নির্ভর করে প্রতিবছর চাষাবাদ করে থাকেন দিনাজপুরের কৃষকরা। তবে চলতি বছর পুরো বর্ষা মৌসুম পেরিয়ে গেলেও দেখা নেই বৃষ্টিপাতের। সদ্য রোপন করা আমনের চারাগুলোতে পানি সরবরাহ না করতে পারায় জমি ফেটে চৌচির।
একদিকে বৃষ্টিপাত না থাকায় জলাশয়গুলোতেও দেখা দিয়েছে পানির অভাব। তবে জ্বালানি তেল চালিত শ্যালো মেশিন ব্যবহার করে পানি উত্তোলন করলেও খরচ গুনতে হচ্ছে দ্বিগুণ। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দিনাজপুরে এবার চলতি মৌসুমে জেলার ২ লাখ ৫৬ হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে বর্ষা মৌসুমেও খরা হওয়ায় অধিকাংশ কৃষকই বৃষ্টিপাতের অপেক্ষায় থেকে ধানের চারা রোপন করতে পারেনি। অনেকে দেরি করে চারা রোপন করেছে। তারপরও বর্তমানে চলতি মৌসুমের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়ে ছাড়িয়ে গেছে। তবে দ্রুত পানির ব্যবস্থা করা হলে চলতি মৌসুমে আমন চাষের পাশাপাশি ফলনের লক্ষ্যমাত্রাও ছাড়য়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। খরচ বহন করতে না পারায় অধিকাংশ কৃষক ঠিকমতো জমিতে পানি দিতে পারছে না। এতে ধানের খেত ফেঁটে চৌচির হয়ে পড়ছে। একদিকে বৃষ্টিপাতের দেখা নাই অন্যদিকে বিদ্যুৎ ব্যবস্থাও অচল। দিনাজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. নুরুজ্জামান মিয়া জানান, চলতি মৌসুমে জেলার ২ লাখ ৫৬ হাজার জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে চাষাবাদে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়ে ছাড়িয়ে গেছে। এবার আমন চাষে চরম বিপাকে কৃষকরা। বরাবরই আমন চাষে প্রাকৃতিক বৃষ্টিপাতের পানি সহায়ক হিসেবে কৃষকের পাশে দাঁড়ায়। এবার পুরো বর্ষা মৌসুম শেষ হয়ে গেলেও ভারি কোনো বৃষ্টিপাতের দেখা নেই। এ কারণে নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে দেরিতে আমন চারা রোপন করেছেন কৃষকরা। এমন পরিস্থিতিতে কৃষকদের সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করে আসছে কৃষি বিভাগ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কোনো ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না আসলে চাষাবাদের পাশাপাশি উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রাও ছাড়িয়ে যাবে।