ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

একমাস পার হলেও হয়নি মামলা

যৌথ বাহিনীর অভিযানে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবি এলাকাবাসীর

যৌথ বাহিনীর অভিযানে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবি এলাকাবাসীর

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় বিএনপির বিজয় মিছিলে প্রতিপক্ষের হামলায় চারজন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয় ১৪ জন। ঘটনার একমাস পার হলেও এখনো হয়নি মামলা, উদ্ধার হয়নি কোনো অস্ত্র। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত ৬ আগস্ট সকালে যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি ও মুন্সীগঞ্জ জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে একটি বিজয় মিছিল বের করে বিএনপি নেতাকর্মীরা। মিছিলে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ৫ সহস্রাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। গজারিয়া উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি রসুলপুর খেয়াঘাট হয়ে রসুলপুর বাজার এলাকায় আসলে হেলমেট পরা এক দল দুর্বৃত্ত মিছিলকারীদের ওপর হামলা চালায়। প্রথমে তারা কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পরে প্রতিপক্ষকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয় চার বিএনপি নেতাকর্মী। গুলিবিদ্ধরা হলেন, আবুল হাসান (৩২) শরিফুল (৪৫), আলিনুর (৪৫), সাবেক ইউপি সদস্য মহসিন মেম্বার (৪০)। এছাড়াও এ ঘটনায় আহত হন ভবেরচর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক শফিকুর রহমান শিকদারসহ আরো ১০ জন। জানা গেছে হামলাকারীরা সবাই গজারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনসুর আহমেদ খান জিন্নাহ সমর্থক। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে এ হামলা চালানো হয়। গুলিবিদ্ধ শরিফুল ইসলাম বলেন, বিএনপির বিজয় মিছিলটি উপজেলা প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে রসুলপুর খেয়াঘাট তারপর রসুলপুর বাজার অতিক্রম করে মুন্সীগঞ্জ জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমানের বাড়ির সামনে আসলে সন্ত্রাসীরা আমাদের উপর হামলা চালায়। অতর্কিত হামলায় আতঙ্কিত হয়ে আমরা বিভিন্ন দিকে ছোটাছুটি শুরু করি। হামলাকারী বেশ কয়েকজনের হাতে পিস্তল ছিল। তারা বিজয় মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশ্যে গুলিবর্ষণ ও ককটেল বিস্ফোরণ করতে থাকে। হামলাকারী কয়েকজন আবার মিছিল আসা লোকজনদের মারধর করে তাদের সাথে থাকা মোবাইল ফোন এবং টাকা পয়সা কেড়ে নেয়। হামলায় আহত বিএনপি কর্মী মোসলেহ উদ্দিন বলেন, হামলাকারীদের মধ্যে স্থানীয় আওয়ামী লীগের চিহ্নিত কয়েকজন সন্ত্রাসী এবং মাদক কারবারি ছিলো। হামলাকারীরা আমাদের মারধর করে সাথে থাকা নগদ টাকা এবং বেশ কয়েকটি মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তাদের কয়েকজনের হাতে ছিল পিস্তল, কয়েকজনের হাতে ছিল রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র। যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযানে অস্ত্রগুলো উদ্ধার হওয়া জরুরি। এদিকে হামলাকারী সশস্ত্র ক্যাডাররা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করায় সাধারণ মানুষের মানুষের মাঝে চাপা আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এ ঘটনায় গজারিয়ায় থানায় পৃথক অভিযোগ দায়ের করা হলেও এখনো মামলা নথিভুক্ত হয়নি। একটি অভিযোগের বাদী মোরসালিন বলেন, এ ঘটনায় আমার ছোটভাই আবুল হাসান গুলিবিদ্ধ হয় এবং মোটরসাইকেলটি জ্বালিয়ে দেয় সন্ত্রাসীরা। আমি এই বিষয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছি। ঘটনার এক মাস হয়ে গেল কিন্তু এখনো পর্যন্ত মামলা রেকর্ড হয়নি। পুলিশ কেন সন্ত্রাসীদের আটক করছে না বা মামলা রেকর্ড করছে না তা আমার জানা নাই। নিরাপত্তা ঝুঁকি বিবেচনায় অবৈধ অস্ত্রগুলো উদ্ধার করার প্রয়োজন। গজারিয়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) এটিএম কামরুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় থানায় তিনটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মাঝখানে আমাদের থানা কার্যক্রম বন্ধ থাকায় তদন্ত কার্যক্রম শেষ করতে কিছুটা সময় লাগছে। তদন্ত করে ঘটনা সত্যতা পাওয়া গেলে অবশ্যই মামলা হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত