কুমিল্লায় সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ওরফে লোটাস কামাল ও নাঙ্গলকোট থানার তৎকালীন ওসি নজরুল ইসলামসহ ৩৫ জনের নামে হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার আশারকোট গ্রামের খিদর আলীর ছেলে আইনজীবী মো. একরামুল হক মজুমদার কুমিল্লার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৫ নম্বর আমলি আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। আদালতের বিচারক আবু বকর সিদ্দিক মামলাটি আমলে নিয়ে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। মামলার অপর আসামিরা হলেন, নাঙ্গলকোট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আব্দুল হামিদ, তার ছেলে যুবলীগ নেতা মো. মঈন উদ্দিন, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম রুবেল, উপজেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা মো. শাহজাহান, মো. মোস্তাক মিয়া, ছাত্রলীগ নেতা আবু ইসহাক, হান্নান, ফরাদ, ইমরান, মো. নোমান, মো. সাইফুল, তুহিনসহ নামীয় ৩৫ ও অজ্ঞাতনামা আরো ৫০ জন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর নাঙ্গলকোটের আশারকোটা এলাকায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বিএনপির সমর্থিত প্রার্থী মো. মনিরুল হক চৌধুরী এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে। ওই সময় তৎকালীন এমপি ও সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের নির্দেশে মামলার আসামিরা রামদা, ছেনি, পিস্তল ও লাঠিসোঁটা নিয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মামলার বাদীসহ নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ওপর আক্রমণ করে। এসময় তার গাড়ি ভাঙচুর ও তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহতসহ হত্যার চেষ্টা করে এবং তাদের মোবাইল ও টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেয়। মামলার বাদী আইনজীবী একরামুল হক মজুমদার বলেন, এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করলেও ওসি নজরুল ইসলাম মামলা নেননি। উল্টো তিনি আমাকে মিথ্যা মামলা দেয়ার হুমকি দেন। পরে থানার ওসির নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ অফিস ও দোকানপাট ভাঙচুর করে উলটা বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে। স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর মামলা করেছি, আশা করি ন্যায়বিচার পাবো।