সাবেক এমপি হানিফের ভাই ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে কিশোরীকে গুমের অভিযোগ

প্রকাশ : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

বাসাবাড়িতে কাজের কথা বলে ১৩ বছরের এক কিশোরীকে গুম করার অভিযোগ উঠেছে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা ও তার স্ত্রী সাম্মীয়ারা পারভীনের বিরুদ্ধে। আতাউর রহমান আতা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফের চাচাতো ভাই। ভুক্তভোগী কিশোরীর নাম সুখিলা (১৩)। ভুক্তভোগী কিশোরী কুষ্টিয়া সদরের জিকে ঘাট এলাকার হৃদয় হোসেনের মেয়ে। গত বুধবার দুপুরে কুষ্টিয়া মডেল থানায় দায়ের করা লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আনুমানিক দেড় বছর পূর্বে সুখিলা (১৩) নামের ওই মেয়েকে বিবাদীরা মাসিক ৫ হাজার টাকা বেতন ধার্য করে তাদের বাসায় শিশু বাচ্চাকে দেখভাল করার জন্য গৃহপরিচালিকা হিসাবে রাখে। কিন্তু তাদের বাসায় নেয়ার পর ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা-মায়ের অনুমতি ছাড়া তার নাম পরিবর্তন করে আফরিন রাখে। ভুক্তভোগী কিশোরীকে মাঝে মাঝেই শারীরিক নির্যাতন করা হতো। এসব তাদের ঢাকার বাসায় গিয়ে নিজ চোখে দেখেলেও বিবাদীরা প্রভাবশালী হওয়ার কারণে প্রতিবাদ বা কোনো আইনি পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হয়নি। শারীরিক নির্যাতন বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলেই তারা কিশোরীর বাবা-মাকে জানে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দিতেন। এছাড়াও কয়েক মাস পূর্বে কিশোরীর পরিবারকে কোনো কিছু না জানিয়ে তাদের ঢাকার বাসায় নিয়ে যায়। অভিযোগের বিষয়ে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা ও তার স্ত্রী মোছা সাম্মীয়ারা পারভীনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার বন্ধ পাওয়া গেছে। অভিযোগের বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহফুজুল হক চৌধুরী অভিযোগটি পেয়েছেন বলে স্বীকার করে জানান, বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। প্রসঙ্গত গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেরে আওয়ামী সরকারের পতন হলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কুষ্টিয়া সদর আসনের সাবেক এমপি মাহবুব উল আলম হানিফ ও তার চাচাতো ভাই কুষ্টিয়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা বাড়িঘর ছেড়ে সপরিবারে গাঢাকা দেন। এমনকি তাদের গাড়িচালক, কাজের লোকসহ ঘনিষ্ঠ লোকরাও আত্মগোপনে চলে যান।