ফুসফুসে গুলি নিয়ে কাতরাচ্ছেন মাদ্রাসা শিক্ষার্থী রাশেদ

প্রকাশ : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের বিরাসার এলাকায় গত ৪ আগস্ট দুপুর ১২টা পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দফায় দফায় সংর্ঘষ হয়। এতে গুরুতর আহত হয়েছিলেন মাদ্রাসা শিক্ষার্থী রাশেদ মিয়া। তার বুকের মধ্যে দুইটি গুলি ঢুকে যায়। অপারেশন করে একটি বের করা হলে অন্যটি এখনো বুকের ফুসফুসের মধ্যে আটকে রয়েছে। এক কঠিন যন্ত্রনা নিয়ে বেঁচে আছে রাশেদ। তবে তার উন্নত চিকিৎসা খুবই প্রয়োজন। জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা তার সু-চিকিৎসার জন্য জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন। জানা যায়, জেলা শহরের দারুল কোরআন আল ইসলামিয়া মাদ্রাসা নাজারাত শাখার মাদ্রাসা শিক্ষার্থী রাশেদ মিয়া গুলিবিদ্ধ হলে প্রথমে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানে তার অপারেশন হলে একটি গুলি বের হলে অন্যটি বের করতে পারেনি চিকিৎসকরা। পরে গ্রামের বাড়িতে চলে আসে রাশেদ। পরবর্তীতে আবার নতুন করে ব্যথা শুরু হলে গত ২২ আগস্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা তার চিকিৎসার জন্য এগিয়ে আসায় গত ৪ সেপ্টেম্বর বিকালে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খুবই দরিদ্র পরিবারে সন্তান রাশেদ মিয়া। তারা ৬ ভাই-বোন। রাশেদ মিয়ার অবস্থান পঞ্চম। রাশেদের পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভাল না হওয়ায় তার উন্নত চিকিৎসা করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে তার নিয়মিত খোঁজ খবর নিচ্ছে স্থানীয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা। গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থী রাশেদ মিয়া জানান, সহপাঠীদের সঙ্গে ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণ করি। গুলি লাগার পর আর কিছু বলতে পারি না। তবে অপারেশন করে একটি বের হলে আর একটি গুলি বুকের মধ্যে রয়েছে। ফলে অনেক কষ্ট হচ্ছে। শিক্ষার্থীর মা মঙ্গলি বেগম ও ভাই মো. খুবাইব জানান, আমরা খুবই গরিব। টাকা খরচ করে চিকিৎসা করানো আমাদের পক্ষে অনেক কঠিন। ছাত্ররা এগিয়ে আসায় রাশেদকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় আনা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কেেলজে সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ডা. একেএম মুরাদ জানান, তার বুকের ফুসফুসে মধ্যে একটি গুলি এখনো আটকে রয়েছে। আটকে থাকা গুলি থেকে ইনফেকশন সারা শরীরে ছড়িয়ে যেতে পারে।