ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ব্যস্ততা নেই শুঁটকি তৈরির শ্রমিদের

শুঁটকি পল্লিতে কাঁচা মাছের তীব্র সংকটে ব্যবসা শুরু হয়নি

শুঁটকি পল্লিতে কাঁচা মাছের তীব্র সংকটে ব্যবসা শুরু হয়নি

সিরাজগঞ্জের শস্য ও মৎস্যভাণ্ডার খ্যাত তাড়াশ উপজেলার চলনবিলের বিভিন্ন এলাকার শুঁটকি পল্লিগুলোতে কাঁচা মাছের তীব্র সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে অনেক শুঁটকি মাছ ব্যবসায়ী এখনো ব্যবসা শুরু করতে পারেনি। তবে কিছু সংখ্যক ব্যবসায়ী এ ব্যবসা শুরু করলেও অধিকাংশই লোকসান গুনছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ঐতিহাসিক ওই বিলের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবছর এ সময় মাছ শুকানো শুরু হয় এবং পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে মাছের যোগান বাড়তে থাকে। তবে এরই মধ্যে বিলাঞ্চলের পানি শুকিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এ জন্য নানা প্রজাতির মাছ এখন ধরা পরছে না জেলেদের জালে। এ কারণে কিছু শুঁটকি ব্যবসায়ী স্বল্প পরিসরে মাছ শুকানো শুরু করলেও অনেকেই এখনো শুঁটকির চাতাল স্থাপন করতে পারেনি। বিগত বছরে কার্তিক-অগ্রহায়ণ মাসে পুরোদমে মাছ শুকানো হলেও এবার সে সময় বিলে পানিই থাকবে না এমন আশঙ্কা জেলে ও শুঁটকি মাছ ব্যবসায়ীরা। এমনকি এখন শুটকির মৌসুম শুরু হলেও ওই অঞ্চলের শুঁটকি শ্রমিকদের তেমন ব্যস্ততা নেই। অথচ এ সময়ে দিনভর শুটকি তৈরির কাজে ব্যস্ত থাকতো নারী পুরুষ শ্রমিকেরা। স্থানীয়রা বলছেন, মৎস্যভাণ্ডার খ্যাত চলনবিল এলাকার উল্লেখযোগ্য ৪৮টি বিল, ১৪টি খাল ও ১১টি নদীতে এক সময় প্রচুর পরিমাণে ছোট বড় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ পাওয়া যেত। বিশেষ করে বর্ষাকালে এ অঞ্চলের জেলেরা বিভিন্ন ধরণের মাছ ধরার উপকরণের সাহায্যে এসব মাছ ধরে এবং তাদের ধরা মাছ রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করতো। এ ছাড়া বর্ষার শেষের দিকে মাছ শুঁটকি করে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা ও উত্তরাঞ্চলের দিনাজপুর, নিলফামারীসহ দেশের বিভিন্ন মোকামে পাঠানো হতো। ভারতে চলনবিল এলাকার পুটি মাছের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ শুঁটকি উৎপাদনে প্রায় ১০০ শুঁটকি ব্যবসায়ী এবং হাজার হাজার শ্রমিক মাছ শুকানোর কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল। ওই চলনবিল এলাকায় প্রক্রিয়াজাত করা শুঁটকি মাছ সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় এবং কাছাকাছি বড় শুঁটকির মোকাম না থাকায় ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। বর্তমানে পুটি ও চাঁদা মাছ পাওয়া যাচ্ছে। এ মাছগুলো ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি কিনে ৪ মণ মাছ শুকালে এক মণ শুটকি তৈরি হয়ে থাকে। খরচ বেশি হওয়ায় এ শুটকি বিক্রি করে লোকসান গুনতে হচ্ছে। ওই অঞ্চলে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ সংকটের কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য অফিসার মশগুল আজাদ বলেন, এ অঞ্চলের বিভিন্ন খালবিলে এখন পানি সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। তবে এ বছর বর্ষা ও বৃষ্টির পানি কম হওয়ায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত