বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাহুল হত্যার ঘটনায় সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিম আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি ইনায়েতুর রহিমসহ ১০৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত মোহাম্মদ রিয়াদ। দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইন চার্জ ফরিদ হোসেন জানান যে, গত বুধবার রাতে শহরের পাক পাহাড়পুর মহল্লার রেজাউল করিমের ছেলে মোহাম্মদ রিয়াদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এজাহারে বাদী অভিযোগ করেন উল্লেখিত আসামিরা গত ৪ আগস্ট দুপুর ১২টা থেকে সাড়ে ১২টায় দিনাজপুর জিলা স্কুলের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শান্তিপূর্ণ মিছিলে আগ্নেয়াস্ত্র দেশীয় অস্ত্রসহ হামলা চালালে শিক্ষার্থী রাহুলসহ বাদী ও বেশকিছু শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়। আহতদের জেনারেল হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে যেয়েও আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীরা প্রাণনাশের হুমকি দেয়। জীবন বাঁচাতে রাহুল বাসায় চলে যায়। অবস্থার অবনতি হলে ৭ আগস্ট আবারো মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয় এবং ওই রাতে মারা যায়। ১০৫ জন আসামির মধ্যে রয়েছেন সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিম, বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আলতাফুজ্জামান মিতা, হাবিপ্রবির সাবেক উপাচার্য প্রফেসর রুহুল আমিন, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান অভিজিৎ বসাক, মোমিনুল ইসলাম. আতাউর রহমান. মোকসেদ আলী রানা. মোস্তফা কামাল. জর্জিস সোহেল. বীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু হুসাইন বিপু. চিড়িরবন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক মুকুল. কেবিএম কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সাইফুদ্দিন আক্তার এবং জেলা যুবলীগের সভাপতি রাশেদ পারভেজ ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন। একই হত্যার ঘটনায় ১৯ অগাস্ট রুহান হোসেন ২০ জন ও ২৫ আগস্ট নিহত রাহুলের বড়ভাই ফরিদুল ইসলাম ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।