হাসিনাসহ ১২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি
প্রকাশ : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নীলফামারী প্রতিনিধি
বৈষম্যেবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মেধাবী শিক্ষার্থীদের রাজপথ থেকে বিতাড়িত করতে এবং শান্তিপূর্ণ আন্দোলন দমন করতে গত ১৮ জুলাই থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত নীলফামারীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, নীলফামারীর সাংসদ আসাদুজ্জামান নূর সহ ১২৬ জন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নীলফামারী জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুস সালাম বাবলা বাদী হয়ে, গত ৫ সেপ্টেম্বর বিকেলে জেলা আদালতে আরও অঙ্গাত ৩০০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলায় অভিযুক্ত অন্যান্য আসামিরা হলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মমতাজুল হক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুজার রহমান, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিদ মাহমুদ, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোশফিকুল ইসলাম রিন্টু, সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন মুন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মনিরুল ইসলাম শাহ আপেল, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ সরকার, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মিঠু মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক রাসেল আমিন স্বপন প্রমুখ। মামলার বিবরণে জানা যায় গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শান্তিপূর্ণ মিছিলে অভিযুক্ত শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান কামাল, আসাদুজ্জামান নূর, সাদ্দাম হোসেন এর নির্দেশনায় নীলফামারীর মনিরুল ইসলাম আপেল, মাসুদ সরকার, রাসেল আমিন স্বপন, শাহিদ মাহমুদসহ আসামিদের নেতৃত্বে ছাত্রদের ওপর হামলা, নেতাকর্মীদের বাড়িঘর ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ লুটপাট চালায়। বাদীপক্ষের জেলা জজ কোর্টের আইনজীবী আসাদুজ্জামান খান রিনো ও মুরসালিন রায়হান কাকন মামলা বিষয় নিশ্চিত করেন। এদিকে মামলা হওয়ার খবর শহরে ছড়িয়ে পড়লে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে, নীলফামারী পৌর এলাকার শাকামাছা বাজার, গাছবাড়ী, টার্মিনাল, বাদিয়ার মোড়, চৌরঙ্গীর মোড়, বাটার মোড়ের হোটেলগুলোতে চায়ের কাপের চুমুকের সাথে এই মামলার কথা। নীলফামারী বড় বাজার হোটেল মামা ভাগিনার খদ্দের টুপামারীর মজিবর রহমান বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর শুধু উন্নয়নের কথা শুনি কিন্তু উন্নয়ন বলতে শহরের বুকে ৬ টা বিল্ডিং। অপর খদ্দের পরিমল বলেন, আমাদের কল্পনা ছিল না এই নুর এমপি আসামি হবে? উনি তো চোর-বাটপারের আলোকিত নেতা! এ বিষয়ে নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের এক সাবেক নেতা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, নীলফামারীতে এদের দুর্নীতি আকাশছোঁয়া, তিনি এমপির এপিএস, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দিকে তাকালেই বোঝা যায় কি রকম দুর্নীতি সংঘটিত হয়েছে। এদিকে মামলার বাদী আব্দুস সালাম বাবলার সাহসের ভুয়সী প্রশংসা নীলফামারীর সাধারণ মানুষের মুখেমুখে।