ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিং

বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিং

শ্যামনগরের অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি তাপপ্রবাহ। তাপপ্রবাহ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শ্যামনগর অঞ্চলে শুরু হয়েছে ব্যাপক লোডশেডিং। সারাদিনই ঘন ঘন লোডশেডিং এ ছাড়া করে সন্ধ্যার পর থেকে ভোর পর্যন্ত বিদ্যুতের ঘন ঘন আসা যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষ। শহর এলাকার চেয়ে গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুতের লোডশেডিং হচ্ছে আরো বেশি। বিশেষ করে লোডশেডিংয়ের কারণে সেচ পাম্পগুলো বন্ধ থাকছে দীর্ঘ সময় ধরে। এতে ফসলহানির আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে। এখন শরত কাল হলেও শ্যামনগর অঞ্চলে বিদ্যুতের এই যাওয়া আসায় জনমনে ক্ষোভ দেখা দিচ্ছে। অনেকেই অতিষ্ঠ হয়ে সামাজিক মাধ্যমে নিজেদের ক্ষোভের কথা বলছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গ্রামাঞ্চলে দিনের বেলা মাঝে মধ্যে বিদ্যুৎ যাওয়া আসা করলেও সন্ধার পর থেকে ভোর পর্যন্ত লোডশেডিং হচ্ছে দীর্ঘ সময় ধরে। ঘন ঘন বিদ্যুৎ যাওয়া আসায় শহরের মানুষ যেমন অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছেন তেমনি গ্রামের মানুষও। তবে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, শ্যামনগরে লোডশেডিং সেভাবে হচ্ছে না। বিদ্যুতের রক্ষণাবেক্ষণ চলমান কাজের জন্য মাঝে মধ্যে লাইন টেনে কাজ করা হচ্ছে। একেক এলাকায় একেক সময় রক্ষণাবেক্ষণের কাজের জন্য এক দুই ঘণ্টা করে লাইন বন্ধ রাখা হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শ্যামনগরের প্রায় সব ইউনিয়নে ঘন ঘন বিদ্যুৎ যাওয়া আসা শুরু হয়েছে। বিশেষ করে মাগরিবের নামাজের সময় দীর্ঘ সময়ের জন্য বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। এ ছাড়াও রাত ১১টার পর থেকে ফজরের আজানের আগ পর্যন্ত তিন থেকে চারবার লোডশেডিং হচ্ছে সমান তালে। বিদ্যুৎ না থাকায় বরফ মিলগুলেতে বরফ উৎপাদনে বিঘ্নতা সৃষ্টি হচ্ছে ফলে বরফের অভাবে সাদা সোনা চিংড়িতে পচন ধরছে। নষ্ট হচ্ছে কোটি কোটি টাকা মুল্যের চিংড়ি। ঘন ঘন লোড শের্ডিংয়ের কারণে ফ্রিজায়িত সব পণ্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এদিকে শ্যামনগরে তীব্র রোদ অন্যদিকে তাপপ্রবাহের কারণে খেতের পানি দ্রুত শুকিয়ে যাওয়ায় সেচের চাহিদাও বেড়ে গেছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিকমতো না থাকায় সময়মতো পানি না পেয়ে জমিতে পানি দিতে বিলম্ব হচ্ছে তাদের। ফলে পানির অভাবে ধানের ক্ষতি হওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করছেন শ্যামনগরের কৃষকরা। কাশিমাড়ীর কৃষক আহসান হাবীব জানান, বিদ্যুৎ ঠিকমতো না থাকায় জমিতেও পানি পাওয়া যাচ্ছে না। ফসল বাঁচাতে হলে ২৪ ঘণ্টায় অন্তত একবার জমি ভেজানো দরকার; কিন্তু লোডশেডিং হওয়ায় তিন চার দিনেও পানি মিলছে না। ফলে ধানের বড় ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আবহাওয়া আরো উত্তপ্ত হলে ফসলের ক্ষতি হবে বলে কৃষকরা জানিয়েছেন। বিশেষ করে সেচনির্ভর বোরো খেতের। বিদ্যুতের ঘন ঘন আসা যাওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পল্লীবিদ্যুতের এক প্রকৌশলী জানান, মাঝে মাঝে সরবরাহ কমে গেলে বিদ্যুতের লোডশেডিং করতে হচ্ছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত