শেরপুর সদর উপজেলার চরমোচারিয়া ইউনিয়নের হরিণধরা গ্রামের মো. ইদ্রিস মিয়ার মেয়ে মোছা. সাদিয়া আক্তার (৩০) কাতার প্রবাসী, ফেনী জেলার পশুরাম উপজেলার কৃষ্ণনগর এলাকার বাসিন্দা মো. ছালে আহাম্মেদের ছেলে মো. ওসমান গণি (৩৫) প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেয় এক লাখ টাকা। মামলার আরজির সূত্রে জানা গেছে, ওসমান গণি একজন কাতার প্রবাসী। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সাদিয়া আক্তারের সাথে প্রথমে পরিচয় হয়। এরপর থেকে দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে মোবাইলে যোগাযোগ অব্যাহত থাকে। ওসমান গণি এরিমাঝে সাদিয়াকে কাতারে ভালো বেতনে চাকরির প্রস্তাব দেয়। এতে সাদিয়া রাজি হলে কাতার যাওয়া বাবদ এক লাখ টাকা ওসমানকে প্রদান করে। এরমধ্যে ওসমানের নিকটতম বন্ধু আবু তাহেরের নামে প্রথমে অগ্রণী ব্যাংক ফেনী জেলা শাখার হিসাব নং-০২০০০০৮৩০২০০২ তাং- ২২-০৪-২৪ইং এর অনুকূলে ৫০ হাজার টাকা প্রদান করে। পরবর্তীতে ওসমানের নিজ নামে ইসলামি ব্যাংক, ফেনী জেলা শাখার হিসাব নং-২৯৯৭ এর অনুকূলে আরো ৫০ হাজার টাকা নগদ প্রদান করে মোট- ১ লাখ টাকা প্রদান করেন। পরবর্তীতে ওসমাগনি কাতার থেকে দেশে ফিরে এসে সাদিয়াকে নিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও ওসমান তাকে বিদেশ নিতে অস্বীকার করে। এমতাবস্থায় ওসমানের কাছে সাদিয়া আক্তারের দেয়া ১ লাখ টাকা ফেরত চাইলে ওসমান সাদিয়াকে নানা ধরনের হুমকি দেয়। সেইসাথে সাদিয়ার বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গির ছবি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ারও হুমকি দেয় ওসমান। পরে সাদিয়া আক্তার বাদী হয়ে শেরপুর সি আর আমলি আদালতে ওসমানকে আসামি করে একটি মমলা দায়ের করেন। আদালত এরইমধ্যে ওসমানের বিরুদ্ধে আগামী ২৩ তারিখ সমনজারি করা হয়েছে বলে তার আইনজীবীর সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এদিকে মামলার বাদী মোছা. সাদিয়া আক্তার আলোকিত বাংলাদেশকে জানান, তাকে বিদেশ না নিয়ে এবং তার পাওনা টাকা পরিশোধ না করে ওসমান পুনরায় কাতার যাওয়ার উদ্দেশ্যে দেশে বিমানের টিকিট নিশ্চিত করেছে। প্রতারক ওসমান আদালতে দেয়া সময়ের আগেই যেন বিদেশ যেতে না পারে এই বিষয়ে ন্যায়বিচার পেতে ভুক্তভোগী সাদিয়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।