সাবেক সংসদ সদস্য শিবলী সাদিকসহ ১৩৩ জনের নাম উল্লেখ ও ৬০০ জন অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে বিরামপুর থানায় নাশকতা লুট ও ভাঙচুর ঘটনার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। দিনাজপুর বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ পরিদর্শক সুব্রত কুমার সরকার জানান, গত সোমবার রাত ৯টায় বিরামপুর উপজেলার দক্ষিণ মুকুন্দপুর গ্রামের আব্দুস সামাদের পুত্র মো. গোলাপ হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলায় আসামিদের মধ্যে ১৩৩ জনের নাম উল্লেখ করে ৬০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন দিনাজপুর-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক, বিরামপুর পৌর সভার সাবেক মেয়র মো. আক্কাস আলী, বিরামপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খায়রুল আলম রাজু, পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. লিয়াকত আলী টুটুল, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক মণ্ডল ও মো. রবিউল ইসলামসহ বিরামপুর ও নবাবগঞ্জ উপজেলার আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ এবং অঙ্গ সংগঠনের ১৩৩ জন নেতাকর্মী। অজ্ঞাতনামা আসামির সংখ্যা ৬০০ জন। এজাহারে বাদী অভিযোগ করেন, গত ৫ আগস্ট দুপুর আড়াই টায় বিরামপুর উপজেলায় পৌর এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতা একত্রিত হয়ে ঢাকা মোড় থেকে সরকারি কলেজ মোড় পর্যন্ত বিপুল সংখ্যক প্রতিবাদী জনতা বিক্ষোভ প্রদর্শন করার সময় অতর্কিতভাবে আসামীরা উপস্থিত হয়ে অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে আন্দোলনকারীদের উপর হামলা চালায়। আসামি সাবেক সংসদ শিবলী সাদিকের হুকুমে আন্দোলনকারীদের উপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে আহত করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিরামপুর থানার এসআই মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, বাদীর কাছে রক্ষিত আলামত জব্দ করেছেন। উল্লেখ সাবেক সংসদ সদস্য শিবলী সাদিকের বিরুদ্ধে বিরামপুর, হাকিমপুর ও নবাবগঞ্জ তিনটি থানায় দুটি হত্যাসহ তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
