বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রিয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগদর দক্ষিণ আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল বলেছেন, বহু রক্তের বিনিময়ে আজকে আমরা নিশ্বাস ফেলে কথা বলার যে বাংলাদেশ পেয়েছি। এখন আবার বাংলাদেশকে নিয়ে নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। ছাত্র-জনতার অংশগ্রহণে যে গণ বিপ্লব এবং নতুন স্বাধীনতা, সেই স্বাধীনতাকে বিপর্যস্ত করার জন্য নতুন কোনো চক্রান্ত করা হলে এদেশের ছাত্র-জনতা তা প্রতিহত করবে। গত সোমবার রাতে শহরের চেয়ারম্যানঘাট একটি কমিউনিটি সেন্টারে জামায়াতে ইসলামী চাঁদপুর জেলা শাখা আয়োজিত দায়িত্বশীল সমাবেশ ও মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, যাদের রক্তের বিনিময়ে বর্তমান সরকার। সেই ছাত্র-জনতার পরিবারগুলোর পাশে সরকারকে দাঁড়ানোর জন্য আমরা অনুরোধ করেছি। নিহত এবং আহত পরিবারগুলো যাতে কর্মসংস্থান পায়। আর আহত ছাত্রদের যেন পড়ার ব্যবস্থা হয়। একই সঙ্গে তাদের স্বাভাবিক জীবন যাপনে ব্যবস্থা গ্রহণ এই সরকারকে নিতে হবে। এই গণঅভ্যুত্থান ছাত্র-জনতা যে নাজরানা পেশ করেছে, আল্লাহতায়ালা যেন তাদের ত্যাগ ও কোরবানি কবুল করেন। তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে করে বলেন, আপনারা জানেন যে এই গণহত্যাকারী হাসিনা প্রয়োজন হলে পাখিরমত গুলি করে ১৮ কোটি মানুষকে হত্যা করে ক্ষমতায় থাকায় যেত, তাহলে ক্ষমতায় থাকতো। আমরা দেশ প্রেমিক সেনাবাহিনী অভিনন্দন জানাই। তিন বাহিনীর প্রধান শেখ হাসিনাকে পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছিলেন জনগণের ওপর আমরা গুলি চালাতে পারবো না। ঠিক সেই সময় শেখ হাসিনা সর্বশক্তি প্রয়োগ করে ব্যর্থ হয়েছে এবং সেনাবাহিনী অনুরোধ রাখেননি, তখনি শেখ হাসিনা পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। এই নেতা বলেন, গণহত্যাকারি, জালিম, অভিশপ্ত শেখ হাসিনাসহ তার দল, সহযোগী সংগঠন, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা ও তাদের দোষর এবং যাদের কারণে শেখ হাসিনা ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠেছে তাদের সবাইকে বিচারের আওতায় আনার দাবি করছি এবং আনতে হবে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের এসব অপরাধের জন্য জামায়াতে ইসলামী আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিচারের দাবি জানিয়েছে। একই সঙ্গে অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও ছাত্ররাও একই দাবি জানিয়েছে। সে দাবির প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী এগিয়ে এসেছে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার এরই মধ্যে ট্রাইবুন্যাল পুনর্গঠন করে এই বিচারের জন্য প্রদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।